ফাগুনের মলাট

মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ’র অনুবাদে মেলায় উপন্যাস ‘প্লেগ’ 

আলবেয়ার ক্যামুর বিখ্যাত উপন্যাস 'দ্য প্লেগ'। উপন্যাসটা প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালে। এতে আলজেরিয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী ওরান শহরে আঘাত করা প্রাণঘাতী প্লেগ মহামারি এবং এটার বিরুদ্ধে শহরের জনগণ, মেডিক্যাল টিম ও ভলান্টিয়ারদের প্রতিরোধ নিয়ে লেখা হয়েছে।

এই ছোট্ট শহরটা হঠাৎ করে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ওরানের অধিবাসীরা সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে, যখন ইঁদুরেরা ড্রেন থেকে বের হয়ে রাস্তায় বা গলিতে গলিতে মরতে থাকে। এরপর পুরুষ, নারী ও শিশুরা প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে উচ্চ জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও মারাত্মক বাগীরোগে।

শহরের অধিবাসীদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। আক্রান্তদেরকে প্রিয়জনদের থেকে আলাদা করে ফেলা হয় এবং বেদনাদায়ক অসুখ ও মৃত্যুর মুখে ছেড়ে দেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। সামরিক আইন জারি করা হয়। ওরানের বাণিজ্যিক পোতাশ্রয় থেকে সমুদ্রযাত্রা এবং বাইরে থেকেও কোনো জাহাজের আগমন নিষিদ্ধ করা হয়। শহরের নাগরিকদের জন্যে খেলাধুলার প্রতিযোগিতা, এমনকি সমুদ্রসৈকতে স্নান ও চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।

বাইরের পৃথিবীর সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে খুব দ্রুতই শহরে খাবার ও নৈমিত্তিক সরবরাহের অভাব দেখা দেয়। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা সরবরাহের সল্পতার সুযোগ নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়।

হাসপাতালগুলো দ্রুত রোগীতে ভরে যায়। প্রথমে বাড়িগুলো ও পরবর্তীতে পুরো শহরতলীগুলো লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। সরকারি অফিসগুলো সাময়িকভাবে প্লেগ হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়।

অনুবাদক মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ বলেন, বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে আমি প্রতি মুহূর্তেই আলোড়িত হয়েছি সাম্প্রতিক অতিক্রান্ত করোনা অতিমারীর সাথে বিভিন্ন পরিসরে এর মিল দেখে। তবে দুঃখজনক হলো করোনা নিয়ে এখনো  এমন মহাকাব্যিক কোনো লেখা হয়নি।

‘প্লেগ’ উপন্যাসটি একুশের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রকাশনী ঘাসফুল। স্টল নম্বর ১৪৭-১৪৮।