ফাগুনের মলাট

‘মানিকপুরের নেকড়ে রহস্য’ রহস্য-রোমাঞ্চ নাকি হরর উপন্যাস?

শেষ পর্যন্ত মানিকপুরের নেকড়ে হাজির হয়েছে সোহরাওয়াদী উদ্যানে। কীভাবে আশা করি বুঝতে পারছেন!

তার আগে বরং মূল ঘটনায় একটু প্রবেশ করা যাক। শুরুটা পরিত্যক্ত গোরস্থানে কয়েকটি মৃত শিয়াল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। এদের শরীর ভয়ানক ক্ষতবিক্ষত। দুটির চোখ নেই। আশপাশের মানুষের মনে কু ডাকল!

এখানেই শেষ নয়। ভুতুড়ে গোরস্থান আর মানিকপুর গ্রাম ঘিরে ঘটতে শুরু করল একের পর এক আশ্চর্য কাণ্ডকীর্তি। 

গোরস্থানে হেঁটে বেড়ায় কারা? কলজে কাঁপানো কণ্ঠে শিষ দেওয়া জন্তুগুলোই বা কী? কালো পোশাকের ভুতুড়ে ছায়ামূর্তিকে দেখা যায় কখনো কখনো। এদিকে আকাশে উড়ে বেড়ায় ভয়ানক এক দানব পাখি। রাতে ঘুম ভাঙতেই  গলায় সুঁচ ফুটানোর মতো দাগ আবিষ্কার করল নাহিদ।

নেকড়ের মতো জন্তু, আকাশে উড়ে বেড়ানো কিছু একটা আর গলায় ক্ষতচিহ্ন, এসব কিসের ইংগিত? তবে কি ঘটনাগুলির সঙ্গে কিংবদন্তির ড্রাকুলার  কোনো সম্পর্ক আছে!

এসব কিছুর উত্তর মিলবে ইশতিয়াক হাসানের লেখা নাহিদ দ্য ইনভেস্টিগেটর সিরিজের নতুন বই মানিকপুরের নেকড়ে রহস্যে। পাবেন একুশে বইমেলায় ঐতিহ্যে (প্যাভিলিয়ন ২৫)। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন জাহিদ জামিল। দাম ২৪০ টাকা। সিরিজের প্রথম বই ফরাসি ম্যামের ধাঁধা ও দ্বিতীয় বই পাহাড়চূড়ার খুনি পাবেন ঐতিহ্যেই।