বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে শ্বশুরের কাছে জমি কেনার দুই লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে, ঝুমুর রাণী মজুমদার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে স্বামীর পরিবার হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সোমবার সকালে পুলিশ ঝুমুরের মরদেহ উদ্ধার করেছে। দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর পুলিশ তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ঝুমুর রাণী মজুমদার বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাগলা গ্রামের উত্তরপাড়ার নির্মল কুমার মজুমদারের মেয়ে।
ঝুমুরের ভাই বাপ্পী মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই বছর আগে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে পারিবারিকভাবে আমার বোনের সঙ্গে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের সজল দত্তের ছেলে গৌতম দত্তের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা দুজন সুখের সংসার করছিল। গত শুক্রবার আমার বোন হঠাৎ করে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসে চার কাটা জমি কিনতে আমার বাবার কাছে দুই লাখ টাকা চায়। আমার বাবা আমার বোনকে কিছুদিনের মধ্যে ওই টাকা দেবে বলে জানালে সে পরদিন আমাদের বাড়ি থেকে আবার তার শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমার বোনের বাড়ি থেকে ফোন করে জানায় যে আমার বোন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা রাতেই বোনের বাড়িতে এসে দেখি তার নিথর দেহ খাটে পড়ে রয়েছে। জমি কেনার দুই লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে ওরা আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।’
তিনি বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে নিহতের ভাসুর বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্য উত্তম দত্ত বলেন, ‘জমি কেনার জন্য কোনো টাকা আমার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির কাছে চাওয়া হয়নি। স্বামীর ওপর তুচ্ছ ঘটনায় অভিমান করে সে ঘরের দরজা আটকে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মো . তোজাম্মেল হক বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ ঝুমুর মজুমদারের মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে কী না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।’
রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/১৮ মে ২০১৫/আলী আকবর টুটুল/রুহুল