অন্য দুনিয়া

আজ ‘বোতাম দিবস’

বোতামের ব্যবহার শুরু হয়েছিল সিন্ধু সভ্যতায়। সমুদ্রের শামুক, ঝিনুকের খোল ছিদ্র করে বোতাম তৈরি হতো। সময় বদলেছে, এখন প্লাস্টিক, কাচ, কাঠসহ আরও অনেক উপাদান দিয়ে বোতাম তৈরি হচ্ছে। এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে ছাড়া কমেনি। পোশাক থেকে শুরু করে ব্যাগ, আয়না থেকে ল্যাম্পশেড- এমনকি জুতাতেও বোতাম ব্যবহার করা হয়।

আভিজাত্য আর শৌখিনতার প্রকাশ হিসেবে শো-বোতামের ব্যবহার বেড়েছে। অনেকে সোনা, হীরা তৈরি বোতামও ব্যবহার করেন।

এ ছাড়া কাপড়, প্রাণীর শিং, দাঁত, হাড়, শামুক ও ঝিনুকের খোলস, নারকেলের শক্ত খোসা, কাঠ, রাবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে দামি দামি বোতাম। ছোট, বড়; ত্রিকোনো, চৌকোনা, গোলাকার বোতাম বাজারে পাওয়া যায়।  হঠাৎ শার্টের বোতাম ছিঁড়ে গেলে মা, বোন কিংবা প্রিয় মানুষটি যত্ন সহকারে সেই বোতামটি আবার লাগিয়ে দেন- এভাবে একটি বোতাম কখনো কখনো হয়ে ওঠে আবেগের বাহক। কেউ কেউ বোতাম সংগ্রহ করতে পছন্দ করেন।  তাদের প্রতি সম্মান জানাতেই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘‘ন্যাশনাল বাটন সোসাইটি’ বোতাম দিবসের সূচনা করে। ১৬ নভেম্বর বোতাম দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। 

উল্লেখ্য, বিশ্বে প্রথম যখন বোতাম আবিষ্কৃত হয়, তখন এটি ছিল খুবই মূল্যবান। সে সময় শুধুমাত্র ধনী পুরুষ এবং নারীদের পক্ষেই বোতাম লাগানো জামা পরা সম্ভব ছিল। শুরু থেকেই পুরুষের জামার ডানপাশে আর নারীদের জামার বামপাশে বোতাম থাকত। পৃথিবীর শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ ডানহাতি। এই ডানহাতিদের সুবিধার কথা ভেবে পুরুষের জামার বোতাম রাখা হতো ডানে। এর আরেকটি কারণ হচ্ছে, পুরুষেরা নিজেদের জামা নিজেরা পরতো।

কিন্তু অভিজাত বা অবস্থাসম্পন্ন নারীরা নিজের হাতে জামা পরতেন না। গৃহকর্মী তাদের জামাকাপড় পরিয়ে দিত। যেহেতু ওই নারীর সামনে দাঁড়িয়ে জামার বোতাম লাগাতে হতো, তাই গৃহকর্মীর সুবিধার জন্য জামার বোতাম থাকত বামে। এখনও পুরুষের জামার ডানে আর নারীর জামার বামে বোতাম লাগানো হয়।