‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফারস স্টোন’ লিখেছেন জে কে রাওলিং। তিনি যে কি পরিমাণ পরিশ্রম করেছিলেন তার একটা নমুনা দেওয়া যাক। রাওলিং প্লট সাজানোর আগে প্রথম পাঁচ বছর শুধু এটা ঠিক করেছিলেন যে তার চরিত্রগুলো কী করতে পারবে, আর কী করতে পারবে না। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফারস স্টোন।
সম্প্রতি এই বইয়ের প্রথম সংস্করণের একটি দুর্লভ কপি বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার পাউন্ডে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৪ লাখ টাকা। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১০ পাউন্ডে ক্রিস্টিন ম্যাককুলোচ তার ছেলে অ্যাডামের জন্য বইটি কিনেছিলেন। সে সময় তিনি অবশ্য ভাবতে পারেননি, প্রায় ৩০ বছর পর বইটি এত দামে বিক্রি হবে।
বুধবার স্টাফোর্ডশায়ারের লিচফিল্ডে রেয়ার বুক অকশনসে বইটি বিক্রি হয়। বায়ারের প্রিমিয়ামসহ মোট দাম দাঁড়ায় ৪৫ হাজার পাউন্ড।
হ্যানসনস অকশনার্সের তথ্য অনুযায়ী, এটি ১৯৯৭ সালের প্রথম 'হ্যারি পটার' বইয়ের পাঁচশো হার্ডব্যাক কপির একটি। বইটি ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার পাউন্ডের মধ্যে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
অ্যাডাম জানিয়েছেন, বইটি তাদের আগের বাড়ির সিঁড়ির নিচে পড়ে ছিল। মজার বিষয়, 'হ্যারি পটার' গল্পেও ঠিক একইভাবে সিঁড়ির নিচে হ্যারির থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। ২০২০ সালের লকডাউনের সময় পরিবারের সদস্যরা প্রথম জানতে পারেন বইটির এত দাম।
১৯৯৭ সালে বইটি কেনার মুহূর্ত স্মরণ করে ক্রিস্টিন ম্যাককুলোচ বলেন, ‘‘আমরা দোকানে থেকে ১০ পাউন্ডে বইটি কিনেছিলাম। অ্যাডাম বইটি খুব পছন্দ করত, আর এটি তার মধ্যে একধরনের মুগ্ধতা তৈরি করেছিল। এখন যেমন পৃথিবীর অনেক শিশুর মধ্যেই সেই একই মুগ্ধতা দেখা যায়।’’