একটি টেকসই ও উঁচু বেড়িবাঁধের দাবি অনেক দিনের পুরনো। প্রাকৃতিক বিপদ সামনে এলেই এই দাবি ওঠে। আর দুর্যোগে বাঁধের ক্ষতি হলে দাবি আরো জোরালো হয়। দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকায় ‘ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’ স্লোগানটাও পুরনো। আম্পানের আঘাতের পর এই স্লোগান আরো বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। একইসঙ্গে আরেকটি দাবি উঠেছে উপকূলবাসী, নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞ পর্যায় থেকে। সেটি হলো- বাঁধের মালিকানা দিতে হবে জনগণকে।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমীন গাজী (৭০) গত ৩ জুন ধসে যাওয়া বাঁধের দিকে আঙুল তুলে বলছিলেন, ‘বাঁধটা যদি একটু শক্ত হতো, একটু উঁচু হতো, তাহলে আম্পানে আমাদের কোনো ক্ষতিই হতো না। এখন তো সব হারিয়ে ফেললাম! এই বিপদে আমাদের ত্রাণ দিতে হবে না। একটা টেকসই বাঁধ দেন।’ রুহুল আমীন গাজীর মতো সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, খুলনার কয়রা ও পাইকগাছার অনেকের মুখেই শোনা গেছে এই দাবির কথা।
সূত্র বলছে, ষাটের দশকের পুরনো বেড়িবাঁধগুলো টেকসই করার দাবি জোরালো হয় ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার পর থেকে। দাবি ওঠে, রিং বাঁধের নামে মানুষের জীবন-জীবিকা ও সম্পদের ক্ষতি না করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। কমপক্ষে ২০ ফুট উঁচু, ১২০ ফুট ঢাল এবং উপরে ৩০ ফুট রেখে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। একইসঙ্গে বাঁধের পাশে ম্যানগ্রোভ বনভূমি গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে আইলার প্রলয়ে যেসব বাঁধ ধসে গিয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি বাঁধ ধসে গেছে আম্পানের ধাক্কায়। বিশেষজ্ঞ পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, বাঁধের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের আইন-নীতিগুলো যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই আবার সুপারিশ করেছেন, জনসাধারণের বাঁধ জনসাধারণের হাতেই তুলে দিতে হবে; তারাই নির্মাণ করবেন, তারাই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তাদের মতে, বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়েই বাঁধে স্থানীয় জনসাধারণের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা সম্ভব।
বেড়িবাঁধ ভেঙে জনজীবনে নেমে আসে সংকট। গাবুরার লেবুবুনিয়া গ্রামের ছবি
এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ আবদুল লতিফ খান বলেন, ‘কেবল ঝড়ের মৌসুম এলে বাঁধের প্রসঙ্গ সামনে আসে। বাঁধের সুরক্ষায় নজর রাখতে হবে বছরজুড়ে। স্থানীয় সরকারই সব সময় স্থানীয় পর্যায়ের খোঁজখবর রাখে। সুতরাং বাঁধের দায়িত্ব তাদের কাছে দিলে যথাযথভাবে কাজ হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড টেকনিক্যাল সহায়তা দেবে।’
দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ গওহার নঈম ওয়ারা এই বক্তব্য সমর্থণ করে বলেন, ‘নির্মাণের পর বাঁধগুলো কোথায় কীভাবে ব্যবহৃত হয়, সে খোঁজ কেউ রাখে বলে মনে হয় না। এজন্য বাঁধের পাহারাদার হিসেবে নয়, মালিক হিসেবেই স্থানীয় জনগণকে থাকতে হবে। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমেই কাজটি হতে পারে।’
দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাসনের একটি বাঁধের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে সেখানে বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় জনসাধারণকে। বাঁধে তারা বাড়ি বানিয়েছে, ফলের গাছ লাগিয়েছে। বাঁধকে ঘিরেই তাদের জীবনযাপন। ফলে সেই বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব তারা নিজেরাই নিয়েছে। এ রকম উদ্যোগ সব বাঁধেই নেওয়া উচিত।’
পানি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘বাঁধের উচ্চতা অন্তত তিন মিটার বাড়াতে হবে। সমুদ্রের দিকে বাঁধ করতে হবে। এক সময় বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে পানি কমিটি করা হয়েছিল। কমিটিকে কার্যকর করতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে।’
নাজুক বেড়িবাঁধের কারণে এলোমেলো জীবন। কয়রার গোবরা গ্রামের ছবি
উপকূলে বেড়িবাঁধগুলোর সংস্কার এবং নতুন বাঁধ তৈরিতে কমিউনিটির নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি’র ক্লাইমেট ফিন্যান্স এনালিস্ট এম. জাকির হোসেন খানের। তার মতে, এ পদ্ধতিতে বাঁধ সুরক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হলে একদিকে যেমন খরচ কমবে, একইসঙ্গে মানুষের মালিকানা প্রতিষ্ঠা পাবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু বাঁধের ডিজাইন প্রণয়ন ও স্থানীয় নাগরিকদের কারিগরি সহায়তা দেবে। যেকোনো দুর্যোগে স্থানীয় কমিউনিটিই পারে শত বছরের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কার্যকর প্রাণ ও প্রকৃতিবান্ধব দুর্যোগসহিষ্ণু টেকসই উন্নয়ন তথা কার্যকর জলবায়ু অভিযোজন নিশ্চিত করতে।’
পশ্চিম উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ও নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্মরত খুলনার সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী বলেন, ‘এই এলাকার পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পলি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি মুখ্য। টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমরা যদি পলি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উপেক্ষা করি, তাহলে এই অঞ্চলের বসতি টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। আমরা নদী শাসন করে বশে আনার চিন্তা থেকে বাঁধ দিয়ে তাকে আটকে মেরে ফেলছি, যার প্রতিশোধ প্রকৃতি নিচ্ছে। নদী বশে আনার কার্যক্রম এবং পলির বিষয়টি উপেক্ষা করার কারণেই নতুন বিপত্তির শুরু।’
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পরে শক্ত বেড়িবাঁধের দাবি নিয়ে আবারও সোচ্চার হয় নাগরিক সমাজ। রাজধানী ঢাকা এবং স্থানীয় পর্যায়ে পালিত হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। ঢাকায় যৌথভাবে অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্টট্রাস্ট ও ইস্যুইটি বিডি। সেখানে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ আলোচনা করেন। তাদের আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি সুপারিশমালা দেশের সকল সংসদ সদস্যের কাছে পাঠানো হয়। এতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে উপকূলীয় এলাকায় অতি বিপদাপন্ন প্রায় ২০-২৫ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা, বিশেষ করে প্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার বরাদ্দের প্রস্তাবকে অপ্রতুল বলা হয়। জাতীয় বাজেটে শুধু টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রতি বছর কমপক্ষে ১০-১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বলা হয়, উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ ও পোল্ডারের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৫৪ কিলোমিটার। এছাড়াও বিভিন্ন চরসমূহে আরো পাঁচ থেকে সাত লাখ দরিদ্র জনগোষ্ঠী বাস করে; যেখানে কোনো বাঁধ নেই। সব মিলিয়ে উপকূলে এই মুহূর্তে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কি.মি. বাঁধ প্রয়োজন। এজন্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।
কোস্টাল এমব্যাঙ্কমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম- সিইআইপি’র প্রোগ্রাম এলাকা
দাবিপত্রে আরো বলা হয়, উপকূলকে জলবায়ু সহনশীল করার জন্য বেড়িবাঁধকেন্দ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। পাশাপাশি স্থায়িত্ব নিশ্চিতকল্পে নির্মিত বাঁধের উভয় পাশে বনায়ন সৃষ্টি ও সংরক্ষণ করতে হবে। একইসঙ্গে ‘উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড’ গঠনেরও দাবি তোলা হয়।
ডেল্টা প্ল্যান ও এসডিজিতে বাঁধ সুরক্ষার নির্দেশনা সরকারের ডেল্টা পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে দেশের দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকার বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম। ২৭ হাজার ৭৩৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা উপকূলীয় অঞ্চল দেশের অন্যান্য বিশেষায়িত এলাকা থেকে অনেক বড়। ডেল্টা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলের বিদ্যমান পোল্ডারের কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঝড়বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ মোকাবিলা করা হবে; পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্যার ঝুঁকি হ্রাস করা হবে ইত্যাদি। কিন্তু এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে উপকূলীয় বাঁধ শক্ত ও উঁচু করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রকল্প পরিকল্পনা, আবেদন, অনুমোদন এবং বাস্তবায়নেই দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাঁধ সংস্কার প্রকল্পগুলো ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
অন্যদিকে উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা বিবেচনায় সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজিতে কিছু নির্দেশনার উল্লেখ রয়েছে। এতে সমস্যা মোকাবিলায় প্রধান তিনটি লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিকূলতা-সহিষ্ণুতা ও অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে হবে; জাতীয় নীতিমালা কৌশল ও পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কর্মব্যবস্থার সমন্বয় করতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন, অভিযোজন, প্রভাব নিরসন ও আগাম সতর্কতা বিষয়ে শিক্ষা-সচেতনতা বাড়াতে হবে, মানব ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার উন্নতি সাধন করতে হবে।
সিইআইপি সমাচার প্রলয়ঙ্করী সিডর ও আইলা-পরবর্তী ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় পাউবো ‘কোস্টাল এমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’- সিইআইপি গ্রহণ করে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায় ২০১৯ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি না পাওয়া, নদী ভাঙন ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হচ্ছে ৬৯৬ কোটি টাকা। সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার আম্পান-বিপন্ন এলাকার নাম ওই প্রকল্পে থাকলেও তা কোন ধাপে হবে, সেটা অনিশ্চিত। জানতে চাইলে সিইআইপির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। কোনো স্থানের কাজ শেষ হয়েছে, কোনো স্থানে কিছু বাকি আছে।’ বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন একটি বাঁধ আম্পানের আঘাতের আগেই ধসে গেল কেন? প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে আগে থেকেই সেখানকার অবস্থা নাজুক ছিল। প্রকল্প প্রণয়নের সময় নদী শাসনের বিষয়টি বিবেচনায় ছিল না। সে কারণে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে।’
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এ উপকূল অঞ্চল বিশেষ অগ্রাধিকারে রয়েছে
বেড়িবাঁধ নাজুক থাকা সত্ত্বেও সিইআইপির প্রথম ধাপে কেন শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা উপজেলা রাখা হলো না? গত ২ জুন এই প্রশ্নের জবাবে পাউবো সাতক্ষীরা-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, ‘প্রকল্পটি বিদেশি অর্থায়নে হচ্ছে; এখানে তাদের আগ্রহের একটি বিষয় রয়েছে। তবে ওই প্রকল্পের অপেক্ষায় না থেকে আমরা এই এলাকার বাঁধ শক্ত ও উঁচু করার লক্ষ্যে সরকারের কাছে একটি প্রকল্প জমা দিয়েছি। ‘সাতক্ষীরা পোল্ডার নম্বর ১৫ পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামের এই প্রকল্পটি এক মাসের মধ্যে অনুমোদন পাবে বলে আশা রাখি।’
চূড়ান্ত গবেষণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের কাছে জানা গেল, ‘সার্বিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পাউবোর পক্ষ থেকে ‘Long Term Monitoring, Research and Analysis of Bangladesh Coastal Zone’ শীর্ষক একটি গবেষণামূলক স্টাডি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কাজের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে Joint Venture of DHI, Denmark and Stichting Deltares, The Netherland” in association with IWM, Bangladesh, University of Colorado, Boulder and Columbia University. বর্তমানে এর কাজ চলছে।
তিনি জানান, এই স্টাডি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পর এর ফলাফলের ভিত্তিতে উপকূলীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পোল্ডারগুলোর বিদ্যমান অবকাঠামো কমপক্ষে ১০০ বছরের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
হাবিবুর রহমান এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ‘এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী গবেষণা স্টাডির ফলের দিকে সবাই তাকিয়ে আছি। এর আলোকেই বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সংকট দূর হবে এবং একইসঙ্গে এক অপার সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হবে।’
পড়ুন ধারাবাহিকের চতুর্থ পর্ব ** চিংড়ি চাষ থেকে মুক্তির জন্য রক্তক্ষয়
পড়ুন ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্ব ** বাঁধভাঙা আশ্বাসে শুধুই দীর্ঘশ্বাস
পড়ুন ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব ** সর্বনাশের ষোলকলা চিংড়িতে
পড়ুন ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব ** বাঁধের ফাঁদে উপকূলজীবন
পড়ুন এ প্রসঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের সাক্ষাৎকার : ‘এবার বাঁধের উন্নয়নের কাজ আশা করাই ভুল’