সাতসতেরো

যেখানে প্রায় ১ লাখ মানুষের জন্য খাবার রান্না হয়

বছরের ৩৬৫ দিন আর দিনের ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে ভারতের নয়া দিল্লির গুরুদুয়ারা বাংলা সাহিব মন্দির। প্রতিদিন এখানে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে খাওয়ানো হয়। এর বাইরে ধর্মীয় ছুটির দিনে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখে। এতো মানুষের খাবারের যোগান দিতে মন্দিরের প্রায় একশো বাবুর্চি এবং প্রায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবী একযোগে কাজ করেন। এর বাইরে মেশিনের সাহায্য নেওয়ারও প্রয়োজন হয়। 

প্রতিদিন অনেক পর্যটক ওই মন্দিরে আসেন। যে কেউ মন্দিরের খাবার খেতে পারেন। মন্দিরের মারবেলের মেঝেতে বসে খেতে হয়। এখানে পরিবেশন করা হয়  নিরামিষ খাবার। রান্না করা হয় ২০ টন চালের ভাত এবং ১০ টন ডাল। এছাড়াও বড় তাওয়ায় প্রস্তুত করা হয় লক্ষাধিক রুটি। বিশেষ দিনে রান্না করা হয় ক্ষীর ও মিষ্টান্ন।

এসব রান্নার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। এসব অর্থ আসে দর্শনার্থীদের দানকৃত টাকা থেকে। অনেক সময় অনেক দর্শনার্থী রান্নার উপকরণ কিনে দেয়। কেউবা হাজারজনের জন্য মানত করেন কেউ আবার শ’খানেক লোকের জন্য খাবার আয়োজন করেন। এভাবেই চলছে মন্দিরের লঙ্গরখানা। 

উল্লেখ্য, করোনাকালে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ লোকের খাবারের আয়োজন করা হতো এই মন্দিরে। ৩ লাখ লোকের খাবার যোগান দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছিলো শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাদের বিশ্বাস মানুষকে দেখলে স্রষ্টা তাদের দেখবেন। প্রতিদিন ভোর তিনটা থেকে শুরু হতো রান্নার কাজ। এখনও প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার মানুষের খাবার যোগান দেওয়া হচ্ছে এই মন্দির থেকে।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার ইণ্ডিয়া এবং দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর