মাত্র ১০ হাজার ৪৫২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ লেবানন। এটি মধ্যপ্রাচের সবচেয়ে ছোট দেশ। দেশটি ক্ষুদ্র হলেও ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় আন্তর্জাতিক স্বার্থান্বেষী মহলের কাছে দেশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একসময় লেবাবনকে বলা হতো এশিয়ার সুইজারল্যান্ড। দেশটির রাজধানী বৈরুতকে বলা হতো মধ্যপ্রাচ্যের প্যারিস। অথচ নানা আগ্রাসন, বাইরের সম্রাজ্যের হস্তক্ষেপ আর দেড় দশকের গৃহযুদ্ধ দেশটিকে বদলে দিয়েছে। তারপরেও দেশটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে স্বর্গরাজ্য। কারণ বহু প্রাচীন নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায় এই দেশে।
মানবসভ্যতার শুরুর দিকেই লেবাননে ফিনিশিয় সভ্যতা শুরু হয়েছিল। লেবাননের আদি বাসিন্দাদের ফিনিশিয়ান নামে ডাকা হয়। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মধ্যপ্রাচ্য অভিযানকালে ফিনিশিয় সভ্যতার সমাপ্তি ঘটে।
গ্রীক আধিপত্যের অবসান হলে এই অঞ্চল প্রথমে রোমান তারপর বাইজেন্টাইন অধিকারে আসে। সপ্তম শতাব্দীতে আরবরা এই অঞ্চল দখল করে। এই সময় সিরিয়া অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে। ক্রসেড যুদ্ধের সময় লেবাননের খ্রিষ্টানরা তাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এরপরে লেবানন অঞ্চল অটোমান সম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত হয়। পরবর্তী প্রায় চারশো বছর এই অঞ্চল অটোমান সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লেবানন ফ্রান্সের অধীনে আসে। পরে ফ্রান্সের সরকার এই অঞ্চল ভাগ করে সিরিয়া লেবানন নামে দুইটি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়। খ্রিষ্টান এবং মুসলিম অধ্যুসিত এই অঞ্চলে সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু প্রায় দেড় দশক ধরে লেবাননের অর্থনীতি ভঙ্গুর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।