সাতসতেরো

জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘ধোঁকার বিরিয়ানি’

‘ধোঁকা’ শব্দটির সাথে আমরা প্রায় সবাই কম-বেশি পরিচিত। জেনেশুনে কেউ ধোঁকা খেতে চায় না। যে ধোঁকা দেয় তাকে বলা হয় ধোকাবাজ। তবে এমন এক ধোঁকা রয়েছে যা স্বাদে, গন্ধে ভরপুর। খাদ্যরসিক আর নিরামিষভোজীদের কাছে বেশ প্রিয় এই ধোঁকার বিরিয়ানি। পুরান ঢাকার শাখারীবাজার এলাকার পান্নিটোলায় গৌড় নিতাই বেকারিতে বিক্রি হয় ধোঁকার বিরিয়ানি।

ময়দার খামির ভেজে সুগন্ধি চালের সহযোগে রান্না করা হয় এই বিরিয়ানি। ভাজা ময়দার খামির অনেকটা মাংসের মতো দেখায়। অনেকে মাংস ভেবে ধোঁকা খায় বলে এই খাবারের নাম ধোঁকার বিরিয়ানি।

পুরান ঢাকার পান্নিটোলায় আরও দুই একটি দোকানে ধোঁকার বিরিয়ানি বিক্রি হয়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় গৌড় নিতাই বেকারির ধোঁকার বিরিয়ানি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই দোকানের যাত্রা শুরু হয়। দোকানটির দেখভাল করেন উকিল দাস। তবে এই বিরিয়ানির রেসিপি গৌরাঙ্গ দাসের। যিনি উকিলের বড় ভাই। গৌরাঙ্গ দাস ১৬ বছরের অধিক সময় ভারতে খাবারের দোকানে বাবুর্চির কাজ করেছেন। সেখান থেকেই শিখেছেন এই বিরিয়ানি রান্না। এরপর দেশে ফিরে নিজেই শুরু করেছেন ধোঁকার বিরিয়ানি বিক্রি। ধোঁকার বিরিয়ানি দামে মোটামুটি সস্তা আবার সুস্বাদু। ফলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ধোঁকার বিরিয়ানির দাম প্রতি প্লেট ১০০ টাকা এবং আধা প্লেট ৫০ টাকা।

প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পাওয়া যায় এই বিরিয়ানি। 

স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত পাল বলেন,‘আমাদের অনেকেরই পছন্দ এই নিরামিষ পদ। কম দামে পাওয়া যায়।’

বাসাবো থেকে এই বিরিয়ানির স্বাদ নিতে আসা মুনহানা অর্ণা বলেন,  ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে এই বিরিয়ানির নাম জানতে পেরে খেতে এসেছি। ভালো লেগেছে ধোঁকার বিরিয়ানি।’

গৌড় নিতাই বেকারির স্বত্বাধিকারী উকিল বলেন, ‘আমাদের ধোঁকার বিরিয়ানি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমরা চেষ্টা করি সবসময় ভালো মানের খাবার গ্রাহকদের দেওয়ার জন্যে। আমাদের বেশিরভাগ রিপিট কাস্টমার। যারা আমিষ খায় না তাদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ধোঁকার বিরিয়ানি।’