সাতসতেরো

কিংবদন্তি শিল্পী ভূপেন হাজারিকার ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ

‘মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য’, ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি রে..  ছুটে ছুটে আয়’, ‘ও মালিক সারা জীবন কাঁদালে যখন এবার মেঘ করে দাও’- এমন সব অমর গানের কিংবদন্তি শিল্পী ভূপেন হাজারিকার ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ।  

একাধারে তিনি ছিলেন গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর ৮৬ বৎসর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।  ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামের সাদিয়া গ্রামে জন্ম তার। 

বিষয় ও বক্তব্যে তার গানগুলো সহজেই মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে। যেমন-‘‘বিস্তীর্ণ দু’ পাড়ে’, ‘সাগর সঙ্গমে’, দোলা হে দোলা’, ‘প্রতিধ্বনি  শুনি’, ‘আমায় একটা সাদা মানুষ দাও’, ‘শরৎ বাবু খোলা চিঠি দিলেম তোমার কাছে’, ‘গঙ্গা আমার মা-পদ্মা আমার মা’, ‘জীবন নাটকের নাট্যকার কি বিধাতা পুরুষ’, ‘আমি এক যাযাবর’, ‘মোর গায়ের সীমানার পাহাড়ের ওপারে নিশিথ রাত্রির প্রতিধ্বনি শুনি’, ‘মোরা যাত্রী একই তরণীর সহযাত্রী একই তরণীর’-ভূপেনের গান মানুষকে আজও উজ্জীবিত করছে।

বাংলা ও হিন্দি দু’ভাষাতেই  আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা পায় ভূপেনের গান। বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্কের বাঁধন ছিল তার। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই শিল্পীর সঙ্গীত স্বাধীনতাকামী জনগণের মাঝে যে আশার আলো জাগিয়েছিল তা চিরস্মরণীয়।  মৃত্যুর কয়েক বছর আগে ঢাকায় এসেও ভক্ত শ্রোতাদের মাতিয়ে যান তিনি। 

বাংলাদেশে ভীষণ জনপ্রিয় ভূপেন হাজারিকা ১৯৭৩ সালে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ নামে যৌথ প্রযোজনায় ছবিতে কণ্ঠ এবং ১৯৭৭ সালে ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবির সংগীত  পরিচালনা করেন। এ চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান ‘মেঘ থম থম করে’ এখনও সবার মুখে মুখে।