সারা দেশে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন চলছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-৫৯ মাস বয়সের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মহাখালীর পুষ্টি ইন্সটিটিউটে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশে অপুষ্টির কারণে শিশুদের রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১০ শতাংশ। সে সময় (১৯৭৪) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের এই রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে তাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন।
বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুই বার শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রেখেছে। যার কারণে বর্তমানে ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে। বর্তমান সরকারের অনেক সাফল্যের মধ্যে এটি একটি বড় ধরনের সাফল্য বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে অবহতিকরণ ও সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে লজিস্টিকস প্রেরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ওষুধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল।
তিনি জানান, লাল রঙের ক্যাসপুল আছে ২ লাখ আইইউ, যার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২৪ সালের জুন মাস। আর নীল রঙের ক্যাপসুল আছে ১ লাখ আইইউ, যার মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশে কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। স্বাস্থ্যসেবীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ক্যাপসুলের মুখ কেটে, ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে কিংবা কান্না করা অবস্থায় শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের পাশাপাশি অসুস্থ কোনো শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।