স্বাস্থ্য

‘ডেঙ্গু দমনে জরিমানা বেশি কার্যকর’

ডেঙ্গু দমনে সচেতনতার চেয়ে অভিযান ও জরিমানা অনেক বেশি কার্যকর বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। 

ডেঙ্গু দমনে নিয়মিত অভিযান, পরিদর্শন কিংবা সচেতনতার কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বুধবার (১৬ আগস্ট) পরিদর্শন চলে মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে। 

এ সময় মেয়র আতিক বলেন, রাজধানীর জাপান গার্ডেন সিটি আগে ছিলো লার্ভা গার্ডেন। প্রতিটি বেইসমেন্টে লার্ভা ছিলো। কিন্তু তারা লার্ভা পরিষ্কার করেছে। এতে প্রমাণ হলো যে, জনগণ সচেতন ও সম্পৃক্ত হলে মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। অতীতে যত টাকা যারা জরিমানা দিয়েছেন তার চেয়ে অনেক কম খরচে লার্ভা পরিষ্কার তারা করেছেন। গত দেড়মাসে যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আবারও রিভার্স অভিযান চলবে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র।

বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের যেসব এলাকায় ইতিপূর্বে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো সরেজমিন দেখতে এসে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র।

তিনি বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলক কম, অধিকাংশই ঢাকার বাইরের রোগী। অর্থাৎ ঢাকার মানুষ আগের চেয়ে সচেতন হয়েছে, কারণ তারা জরিমানা দিয়েছে। দেড়মাসে প্রায় দেড়কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে, যার পুরোটাই ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগে জমা হয়েছে। 

প্রথমবার ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় মশা নিধনে প্রয়োগকৃত বালাইনাশক 'বিটিআই' সম্পর্কে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্ল্যান প্রটেকশন নীতি অনুযায়ী এই বিটিআই যে কেউ আমদানি করতে পারবে। ফলে সবচেয়ে কম দামে যে কোম্পানি পিপিআর দিয়েছে (মার্শাল অ্যাগ্রোভেট), তাদেরকেই কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পিপিআরে কোথাও বলা ছিলো না, নির্দিষ্ট কোন দেশ থেকে 'বিটিআই' আনতে হবে। চারটি দেশের কথা উল্লেখ ছিল।

'বিটিআই' ডিএনসিসি হাতে পাওয়ার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ব বিভাগে পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় মশা নিধনে 'বিটিআই' অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে ডিএনসিসি ইভ্যুলেশন কমিটি, আইইডিসিআরসহ সবাই এটাকে কার্যকর বলেছে। মার্শাল অ্যাগ্রোভেট যেহেতু দাবি করেছে, তারা 'বিটিআই' সিঙ্গাপুরের বেস্ট ক্যামিকেলস থেকে এনেছে, সেজন্য তাদের কাছে আরও তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে। সেই চিঠিকে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা কোন কোম্পানি থেকে, কার মাধ্যমে এনেছে?

মেয়র আতিক বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় মাত্র পাঁচ টন বিটিআই আনা হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য। ডিএনসিসি এলাকায় মশক নিধনে প্রয়োজন হবে হাজার টন। আমাদের কাছে রক্ষিত বিটিআই থেকে চাইলে যে কেউ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এরপরও কোনো কারণে বিটিআই'র গুণগত মানসহ যে কোনো  ব্যাপারে মিথ্যা প্রমাণ পাওয়া গেলে সরবরাহকৃত কোম্পানি মার্শাল অ্যাগ্রোভেট'র বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরের পরে বিটিআই' কার্যকারীতার পরীক্ষা গণমাধ্যমের সামনে রাজধানীর গুলশানের ডিএনসিসি কার্যালয়ে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।