বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনি চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ও দেখেছেন তাদের, বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও জাতীয় চার নেতার ভূমিকা নতুন প্রজন্মকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) জেলা হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের মধ্যে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন বা দেখেছেন, তাদের উচিত নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও জাতীয় চার নেতার ভূমিকা জানানো। প্রয়োজনে গল্পের মতো করে শিশুদেরও এসব ঐতিহাসিক বিষয় বলতে হবে।
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতেন বলেই জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানেও সেই একই খুনি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। হরতাল, অবরোধের নামে ধ্বংসলীলা শুরু করছে তারা। পুলিশকে পর্যন্ত নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে এই অপশক্তি। হরতাল অবরোধের নামে যারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, মানুষের জীবনের ওপর আঘাত হানছে, তাদের রুখে দিতে হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে।
এসময় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় এই দিবসে শহীদ জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সবুজ প্রমুখ।