চিকিৎসায় গাফিলতি ও অবহেলা প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. খান মো. সাইদুজ্জামানের রেজিস্ট্রেশন ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
বুধবার (৮ মে) বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডা. খান মো. সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোহাইমিন মোস্তফা তার বাবার চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে অত্র কাউন্সিলে অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল অভিযোগকারী এবং চিকিৎসক উভয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তীতে কাউন্সিল কর্তৃক তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমাণিত হয়, একজন কনসালট্যান্ট চিকিৎসক হয়েও ‘গলব্লাডার মাস’ বিষয়টি জানার পরও উল্লেখিত চিকিৎসক তার প্রেসক্রিপশন প্যাডে তা উল্লেখ করেননি এবং রোগীর কোনো আত্মীয়-স্বজনকে গলব্লাডার ক্যানসারের বিষয়টি অবহিত করেননি। এটি গুরুতর অপরাধ এবং চিকিৎসায় চিকিৎসকের যথেষ্ট গাফিলতি ও অবহেলা ছিল-তা প্রমাণিত হয়েছে।
‘এমতাবস্থায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইনের ক্ষমতাবলে বিএমডিসি থেকে প্রদত্ত তার রেজিস্ট্রেশন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলো। যা ৮ মে থেকে কার্যকর হবে’, বলেও জানানো হয়।
বিএমডিসির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন) এর ধারা ২২ (১) অনুযায়ী তার রেজিস্ট্রেশন স্থগিতকালীন নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে কোথাও কোনো প্রকার চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না। এমনকি নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয়ও দিতে পারবেন না’।