স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউ-তে গবেষণায় অনুদান পেলেন ৪৩৮ শিক্ষার্থী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গবেষণার জন্য ৪৩৮ শিক্ষার্থীকে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা গবেষণা মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিএসএমএমইউ’র শহিদ ডা. মিলন হলে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষায় অধ্যয়নরত গবেষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবাবিষয়ক এ গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। 

গবেষকদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ‘র শিক্ষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের গবেষণা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে। গবেষণা হতে হবে সম্পূর্ণ। একসঙ্গে এত সংখ্যক চিকিৎসক-ছাত্রছাত্রীকে গবেষণার জন্য অনুদান দেওয়া বিশ্বে বিরল। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। এটা গিনেস বুকে স্থান পাওয়ার দাবি রাখে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনও গবেষণার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। গবেষণার মান বৃদ্ধি, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রীদের বিশেষভাবে আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা শুধু জরুরিই নয়; স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা অপরিহার্য, এর কোনো বিকল্প নেই। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্লু, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব গবেষণার প্রয়োজনীয়তাকে আরও অত্যাবশ্যকীয় করে তুলেছে। রোগ প্রতিরোধ, নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ, ভ্যাকসিন আবিষ্কার, সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া, রোগের ধরন, গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানাসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা এখন সময়ের দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ডা. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।