ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল বাহিনীর নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে। হামলায় গাজায় অন্তত ১০৯ জন নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলের সাত জন নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১০৯ জনের মধ্যে ২৮ শিশু ও অন্তত ১১ নারী রয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৫৮০ জন।
ইসরায়েল হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশের বিভিন্ন ভবন, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রসহ উপত্যকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তবে হামলার জবাবে রকেট ছুড়ে প্রতিরোধ জারি রেখেছে হামাস।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, তাদের বাহিনী গাজায় প্রায় এক হাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মে) আজ-জাজিরার খবরে বলা হয়, গাজা সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। সেখানে স্থল অভিযান চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ জেলা থেকে ৭০টির বেশি পরিবার উচ্ছেদের ঝুঁকির মুখে পড়ায় গত ৭ মে বিক্ষোভ শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে পবিত্র রমজানের জুমাতুল বিদা এবং শবে কদরের নামাজের সময় তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও বোমা ছুড়ে তারা। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এর প্রতিশোধ নিতে গাজার শাসক দল হামাস রকেট হামলা চালায় তেল আবিবে। জবাবে মঙ্গলবার থেকে গাজায় বিমান হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল।
এদিকে, সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহল থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন। অপর দিকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল হামলা বাড়ালে তারা প্রতিহত করবেন। আর ইসরায়েল এটা বন্ধ করতে চাইলে তারা সম্মত আছে।