সোমবার (৫ জুলাই) মহারাষ্ট্রের বিধানসভার ১২ জন বিধায়ককে ১ বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আনীত গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে এই শাস্তি প্রদান করা হয়।
এই ১২ জন বিধায়ক বিধানসভার স্পিকারের চেম্বারে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি তারা স্পিকারকে গালি দিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় চিৎকার চেঁচামেচির মত কান্ড ঘটিয়েছেন। বহিস্কার হওয়া বিধায়করা হচ্ছেন, সঞ্জয় কুটে, আশিষ শেলার, অভিমন্যু পাওয়ার, গিরিশ মহাজন, অতুল ভাটকালকার, পরাগ আলাভনি, হারিশ পিমপালে, রাম সাটপুটে, বিজয় কুমার রাওয়াল, যোগেশ সাগর, নারায়ন কুচে এবং কীর্তিকুমার ভান্ডিয়া। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী অনিল পারাব এই বহিস্কারাদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভার দুদিন মেয়াদী বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিরোধী দলীয় নেতা দেবেন্দ্র ফাডনাবিস প্রথমেই এমপিএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা এবং অধিবেশনের স্বল্পসময়ের জন্য সরকারকে দায়ী করে সমালোচনা শুরু করেন। বিজেপির এই নেতা দাবি করেন, সকল প্রকার দাবি উত্থাপনের জন্য বিরোধীদলীয় সদস্যদের বিধানসভায় অনুমতি প্রদান করার জন্য। পাশাপাশি তাদের করা প্রশ্নসমুহের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উত্তর দেয়ার জন্যও স্পিকারের কাছে দাবি জানান।তারপর থেকেই বহিস্কার হওয়া বিধায়করা উত্তেজিত আচরণ করতে শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
বিরোধিদলীয় নেতা দেবেন্দ্র বলেন, 'রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওবিসি কোটার বিষয়ে তাদের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করার দায়ে সরকার হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের বিধায়কদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দিয়েছে। এটি বিধানসভা থেকে বিরোধীদলের সদস্যদের কমানোর একটি ষড়যন্ত্র। আমরা এই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান করছি। পাশাপাশি বিধানসভার অধিবেশনও বয়কট করছি।'
বহিষ্কৃত বিধায়কদের মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি মুম্বাই ও নাগপুরের বিধানসভার চত্বরে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তথ্যসুত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া