আন্তর্জাতিক

তালেবান শাসনামলে ২০০ জনের বেশি সেনা হত্যার শিকার

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি আফগান সেনাসদস্য ও কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেককেই হত্যা করা হয়েছে তালেবান ক্ষমতায় আসার প্রথম চার মাসের মধ্যে। খবর আলজাজিরা 

দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলছে। যদিও তালেবান ক্ষমতায় আসার পরই গত সরকারের অনুগত সেনাসদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল।

দুই বছর আগে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম ইউএনএএমএ দেশটিকে নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করার ঘটনা এটি, যেখানে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ৮০০টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক, নির্যাতন, দুর্ব্যবহার ও জোরপূর্বক গুম।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, ইউএনএএমএর প্রকাশিত প্রতিবেদনে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের সাবেক সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আচরণের একটি মর্মান্তিক চিত্র তুলে ধরছে। অথচ তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হবে না। এটি জনগণের বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

২০২১ সালের আগস্টে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পরে তালেবান আফগানিস্তানের সব সরকারি কর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে এবং নারীদেরও সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। এমনকি, রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে অনেকটা উদার নীতিতেই দেশ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা।  

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, কোনও কথাই রাখেনি তালেবান। সামরিক ব্যক্তিদের হত্যার পাশাপাশি দেশটি নারীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি, অধিকাংশ কর্মক্ষেত্র থেকেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।