উত্তর কোরিয়া তার প্রথম অপারেশনাল ‘কৌশলগত পারমাণবিক হামলার সাবমেরিন’ উদ্বোধন করেছে। এটি কোরীয় উপদ্বীপ এবং জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় টহলরত নৌবহরে মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সাবমেরিন ৮৪১ নংকে উত্তর কোরিয়ার ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিরো কিম কুন ওকে-এর নামে নামকরণ হয়েছে ।
শীর্ষ নেতা কিম জং উন বলেছেন, এটি উত্তর কোরিয়ার ‘নৌবাহিনীর পানির নিচে আক্রমণের’ অন্যতম প্রধান যান।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সাবমেরিনটি সোভিয়েত যুগের রোমিও শ্রেণির সাবমেরিনের পরিবর্তিত রূপ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৭০ এর দশকে চীন থেকে রোমিও শ্রেণির সাবমেরিন পেয়েছিল উত্তর কোরিয়া এবং পরবর্তীতে পিয়ংইয়ং অভ্যন্তরীণভাবে এর উৎপাদন শুরু করে।
বিশ্লেষকরা আরও জানিয়েছেন, নকশা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১০টি লঞ্চ টিউব হ্যাচসহ সাবমেরিনটি সম্ভবত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।
যুক্তরাষ্ট্রের এক জন সাবেক সরকারি অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ভ্যান ভ্যান ডিপেন জানিয়েছেন, এই ধরনের অস্ত্রগুলো উত্তর কোরিয়ার আরও শক্তিশালী স্থলভিত্তিক পারমাণবিক শক্তির জন্য খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। কারণ নতুন ডিজাইনের হলেও ব্যবহৃত বয়সী সাবমেরিনগুলো তুলনামূলকভাবে ঝঞ্জাটপূর্ণ, ধীর এবং সীমিত পরিসরের। এর অর্থ হচ্ছে, এই সাবমেরিনগুলো বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।