আন্তর্জাতিক

পেরুর প্রেসিডেন্টকে ‘খুনি’ বলে ভর্ৎসনা

পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে আজ রোববার দেশটির দক্ষিণ আন্দিয়ান অঞ্চল সফরকালে স্থানীয়দের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েন। ২০০২ সালে এ অঞ্চলে সরকারি বিরোধী বিক্ষোভে ১০ জন নিহত হয়েছিল। ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রথমবার অঞ্চলটি সফরে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভর্ৎসনার শিকার হলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া অযাচাইকৃত ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, নিরাপত্তা কমকর্তাদের সামনেই স্থানীয় মানুষজন ‘দিনা একজন খুনি’ বলে চিৎকার করছেন।

সাংবাদিকদের কাছে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে রুথ বার্সেনা নামের এক নারী বলেছেন, তার প্রয়াত স্বামী লিওনার্দো হ্যাঙ্কোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভ চলাকালীন গুলি করা হয়েছিল। 

ভিড়ের মধ্যে থেকে চিৎকার করে ওই নারী বলছিলেন, ‘আমার স্বামীকে এখানে খুন করা হয়েছে। তারা আমার স্বামীকে মেরেছে এবং তারা চায় আমি শান্ত হই?’ 

স্থানীয় গণ্যমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনায় ওই নারীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আটক করেনি।

২০২২ সালের ডিসেম্বর পেরুর বামপন্থি প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলিওকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তারও দেশটির পুলিশ। এরপর তার ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হন। তিনি পেরুর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। পেদ্রো ক্ষমতাচ্যুত ও গ্রেপ্তার হওয়ার জেরে দেশটিতে সহিংসতা শুরু হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভের জেরে কয়েক ডজন মানুষ মারা যান, বেশিরভাগই দক্ষিণ পেরুর।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী জর্জ ওতারোলা শনিবারের বিক্ষোভকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবে নিন্দা করে করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটি রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং এটি খুব গুরুতর। সহিংসতার সাথে, আমরা সবাই একটি দেশ হিসেবে হেরেছি।’

পেরুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা দায়ীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চালাবে।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু একটি কঠিন রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পাঁচজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছিল দেশটি। নতুন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভের জেরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির তিনি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছিল পেরুর সরকার।