আন্তর্জাতিক

কত সম্পদের মালিক পুতিন

রাশিয়ায় আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিয়ম অনুসারে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের (সিইসি) কাছে নিজের সম্পদ ও আয়ের বিবরণ জমা দিয়েছেন পুতিন।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া আর্থিক বিবরণীতে পুতিন দাবি করেছেন, তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১ মিলিয়ন ডলারেরও কম উপার্জন করেছেন। 

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নথি অনুসারে, পুতিন ২০১৭-২০২২ পর্যন্ত ছয় বছরে ৬৭.৫ মিলিয়ন রুবেল (৭ লাখ ৫৬ হাজার ডলার) উপার্জন করেছেন। আয়ের উৎস হিসেবে বেতন, ব্যাংক ও শেয়ার বাজার থেকে আয়, সামরিক পেনশন এবং সম্পত্তি বিক্রির কথা উল্লেখ করেছেন পুতিন।

স্থায়ী সম্পদ বলতে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে ৮০০ বর্গ ফুটের (৭৭ বর্গ মিটার) একটি অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি গ্যারেজ (১৮ বর্গ মিটার), রাশিয়ান অটোমোবাইল শিল্পে উত্পাদিত তিনটি গাড়ি এবং একটি ট্রেলার ট্রাকের মালিক বলে ঘোষণা পুতিনের।

নিউজ উইকের প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বেতন ৪ লাখ ডলার। পুতিন বলেছেন, ৬ বছরে ব্যাংক তার সঞ্চয় ৬৭.৫ মিলিয়ন রুবেল (৭ লাখ ৫৬ হাজার ডলার)।

পুতিন কয়েক দশক ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন: ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং ২০১২ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাসীন।

নিউজ উইক জানিয়েছে, আর্থিক বিবরণীতে পুতিনের আরও অনেক সম্পত্তি উল্লেখ করা হয়নি। যেমন: সোচিতে গ্রীষ্মকালীন বিলাসবহুল বাড়ি, কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে একটি বাড়ি যেটিকে ‘পুতিনের প্রাসাদ’ বলা হয় এবং ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে একটি উপসাগরে সম্প্রতি রেজিষ্ট্রিকৃত বিলাসবহুল ইয়ট।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এটি রাশিয়ার ইতিহাসে প্রথম তিন দিনের নির্বাচন হবে। 

২০২০ সালে দেশটিতে একটি বিতর্কিত আইন পাস করা হয়। যার মধ্যে দিয়ে ছয় বছর করে আরও দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। ৭১ বছর বয়সী পুতিন ওই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে নিজের জন্য ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার পথ উন্মুক্ত করেন।