আন্তর্জাতিক

নেদারল্যান্ডসকে ইসরায়েলে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ব্যবহৃত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করতে একটি ডাচ আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ডাচ আপিল আদালত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আপিল বহাল রাখার পর এ আদেশ দিয়েছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার সময় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এমন উদ্বেগে আপিল আদালত ইসরায়েলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশের রপ্তানি বন্ধ করতে নেদারল্যান্ডস সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, ‘এটি অনস্বীকার্য যে, রপ্তানিকৃত এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ  আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হওয়ার একটি স্পষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। আদালত সাতদিনের মধ্যে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের আদেশ দিচ্ছে।’

রয়টার্স বলছে, গত বছর নিম্ন আদালতের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং অক্সফামের একটি আপিলের পর এই রায় দেওয়া হলো। সংগঠন দুটি যুক্তি দিয়েছিল, সরবরাহ করা যন্ত্রাংশ ‘গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক মানবিক আইনের ব্যাপক ও গুরুতর লঙ্ঘনে অবদান’ রাখে। নিম্ন আদালত আগের সেই সিদ্ধান্তে তাদের যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ডাচ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগও এনেছিল।

গত বছরের ডিসেম্বরে মামলাটির প্রথম রায়ে নিম্ন আদালত ইসরায়েলে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানিতে সায় দিয়েছিলেন। নিম্ন আদালত সেসময় বলেন, ‘অস্ত্র রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক এবং নীতিগত বিষয়গুলো বিবেচনা করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রচুর পরিমাণে স্বাধীনতা রয়েছে।’

তবে এবার আপিল আদালতের বিচার বাস বোয়েল রায়ে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্বেগ যুদ্ধের আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট ঝুঁকিকে অতিক্রম করে না।’

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামায় চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হোন। এর প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে সামরিক অভিযানের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।