আন্তর্জাতিক

১৪০ দিন ধরে ইসরায়েলি অপরাধ দেখছে জাতিসংঘ-পশ্চিমা দেশগুলো: এরদোয়ান

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

তিনি বলেন, ‘১৪০ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো কেবল দেখেই চলেছে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো।’ 

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সাকারিয়াতে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির এক সভায় বক্তব্যকালে এমন মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। খবর আদাদোলু এজেন্সির।

এরদোয়ান বলেন, ‘তারা এতোটাই বেশি (নির্বিকার) যে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় না এবং জানাতে পারেও না।’

পশ্চিমা কোনও শক্তি বা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কেউই ইসরায়েলের সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর প্রচেষ্টা চালায়নি বলেও জোর দিয়ে বলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। 

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।