ইরানে আসন্ন আগুন উৎসবের আগে ঘরে ঘরে চলছে আতশবাজি ফোটানোর আয়োজন। ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি শনিবার (২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটিতে গত ১০ দিনে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৫ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছেন।
ইরানের মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি অর্গানাইজেশনের প্রধান জাফর মিয়াদফারকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গত বছরের তুলনায় নিহতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, আহতের সংখ্যা ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
মিয়াদফার জানিয়েছেন, আতশবাজি বিস্ফোরণে রাজধানী তেহরানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অঙ্গহানি, ৩১ জন চোখে আঘাত এবং ৪১ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ঐতিহ্যবাহী আগুন উৎসবের আগের দিনগুলোতে আতশবাজির কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। আগামী ১২ মার্চ দেশটিতে পালিত হবে আগুন উৎসব।
গত বছর আগুন উৎসব পালনের সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১১ জন নিহত ও সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন।
ইরানে আগামী ২০ মার্চ পারস্য নববর্ষ উদযাপিত হবে। নববর্ষের আগে আগামী ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী আগুন উৎসব। ফার্সি ভাষায় চাহারশানবে সুরি নামে অগ্নি উৎসবটি প্রতি বছর ইরানি ক্যালেন্ডার বছরের শেষ মঙ্গলবার রাতে পালিত হয়। উৎসব চলাকালীন, অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের শুদ্ধ করতে এবং অশুভ আত্মাদের তাড়ানোর জন্য আগুনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওই সময় তারা ‘আমি তোমাকে আমার হলুদ রঙ দিই’ (রোগের সূচক) এবং ‘আমি তোমার লাল রঙ গ্রহণ করি’ (জীবনের প্রতীক) স্লোগান দেয়। এই উৎসবটি ইরানের ইসলাম-পূর্ব সময়ের। তবে এটি এখনও তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়।