আন্তর্জাতিক

শক্তিশালী ভূমিকম্প: তাইওয়ান-ফিলিপাইন-জাপানে সুনামি সতর্কতা

গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। খবর এনডিটিভির। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে পুরো তাইওয়ানজুড়ে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে দক্ষিণ জাপান এবং ফিলিপাইনের কিছু অংশের জন্যও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালেন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

তাইপেতে ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে আফটারশক অনুভূত হতে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে বহু বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। স্কুল ও আবাসিক ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে একজন মারা গেছে এবং ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

ইন্টারনেট মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকসের জানিয়েছে, পুরো তাইয়ানজুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এবং ইন্টারনেট বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে।

ভূমিকম্পের কারণে তাইওয়ানি কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে এবং সেখানকার অধিবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া দপ্তর মিয়াকোজিমা দ্বীপসহ এই অঞ্চলের প্রত্যন্ত জাপানি দ্বীপপুঞ্জের জন্য ৩ মিটার (১০ ফুট) উচ্চতার সুনামির ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করেছে। এসব এলাকার লোকজনকে যত দ্রুত সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

ফিলিপাইনের উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও উচ্চমাত্রার সুনামি ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থা উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের অতিদ্রুত উঁচু এলাকাগুলোতে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

তাইওয়ানে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্রের পরিচালক উ চিয়েন ফু জানান, ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে দুই হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। তিনি আরও জানান, সমগ্র তাইওয়ানজুড়ে এবং সাগরের অন্যান্য দ্বীপে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।