ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিজের স্ত্রী, সন্তান, মা, বোন ও চাচাত ভাইসহ ৩৬ আত্মীয়কে হারিয়েছেন ইসলাম আবু ইসাইদ। স্বজন হারানোর ব্যাথা বুকের মধ্যে চাপা দিয়ে তিনি মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতালে ইসরায়েলের আক্রমণে নিহত ব্যক্তিদের জানাজা পড়াচ্ছিলেন।
তবে আবু ইসাইদ জানাজা পড়িয়েই চলে যান না। প্রায় প্রতিদিন তিনি নিহতদের জন্য হাসপাতালে এসে শোক প্রকাশ। এছাড়া প্রতিটি পরিবারের দুঃখে অংশ নিতে হাসপাতালে আসেন এবং যুদ্ধে নিহতদের জন্য প্রার্থনা করেন।
আবু ইসাইদ রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস ধরে আমরা হাসপাতালে আসছি এবং হাজার হাজার শহীদের জন্য প্রার্থনা করছি, শহীদের পর শহীদ। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তারা যেন সেরা শহীদদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হন।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজার শহরের দেইর আল-বালাহ হাসপাতালে ৬০ বছর বয়সী আবু ইসাইদ প্রায়ই জানাজার নামাজে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশপাশি আহতদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়ান।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গিয়ে মানুষকে ধৈর্য ধরতে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করি, বিশেষ করে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। কারণ এটি মানুষের ধৈর্যের উপর খুব ভাল প্রভাব ফেলে।’
হাসপাতালে শোকাহত স্বজনরা আবু ইসাইদের শান্ত উপস্থিতির প্রশংসা করেছেন।
মোহাম্মদ আল-আওয়ার নামে এক জন বলেছেন, ‘তার মনোভাব খুব সুন্দর। তিনি মানুষকে শান্ত করেন এবং তিনি মানুষকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি মানুষের দুঃখ ভাগ করে নেন।’