আন্তর্জাতিক

নিজেদের বাদ দিয়ে দরিদ্র দেশে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে উন্নত বিশ্ব

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দরিদ্র দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সম্প্রসারণের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থায়ন করছে।

প্রচারাভিযান গ্রুপ অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল এবং ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলো ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশে জীবাশ্ম জ্বালানি উন্নয়নে ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।

তিন বছরের গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডা, জাপান ওদক্ষিণ কোরিয়া এই ধরনের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল এবং কয়লা বা তেলের চেয়ে গ্যাস বেশি তহবিল পেয়েছে তারা।

বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭ জীবাশ্ম জ্বালানির বৈদেশিক তহবিল বন্ধে ২০২২ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কয়লার জন্য তহবিল দ্রুত হ্রাস পেলেও তেল ও গ্যাস প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন শক্তিশালী গতিতে অব্যাহত রয়েছে।

কিছু অর্থ অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য উন্নত অর্থনীতির দেশে যাচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই যাচ্ছে উন্নয়নশীল বিশ্বে। অবশ্য ধনী মধ্যম আয়ের দেশগুলো এখনও দরিদ্রতমদের তুলনায় বেশি অর্থ পায়।

গবেষকরা আরও দেখেছেন যে, জাপান চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিদেশে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে নতুন বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। জীবাশ্ম জ্বালানি তহবিল শেষ করার প্রতিশ্রুতিতে যে ত্রুটিগুলো ছিল সেগুলো কাজে লাগিয়ে নতুন বিনিয়োগ করছে টোকিও। বিশ্বব্যাংক তিন বছরের মেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানীনিন্য বছরে প্রায় ১২০ কোটি ডলার প্রদান করেছে, যার মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ গ্যাস প্রকল্পে গেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ইতালি ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিদেশী জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পগুলোতে বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের তহবিল সরবরাহ করেছে। যুক্তরাজ্য বছরে গড়ে প্রায় ৬০ কোটি ডলার সরবরাহ করেছে এই খাতে।