আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনকে সহায়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন ব্লিংকেন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার কিয়েভ সফরের যান। এ সময় ব্লিংকেন দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা আজ আপনাদের সাথে আছি এবং যতদিন না ইউক্রেনের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, নিজের পথ নিজেই বেছে নেয়ার সক্ষমতা নিশ্চিত না হয় ততদিন আপনাদের পাশেই থাকবো।’

ব্লিংকেন জেলেনস্কিকে জানান, নিকটতম সময়ে সামরিক সহায়তা কিয়েভের পথে রয়েছে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এ সহায়তা বাস্তব পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম হবে।

ব্লিংকেনের সাথে আলোচনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘অত্যন্ত জরুরি সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।

কংগ্রেসের অনুমোদনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন গত মাসে ইউক্রেনের জন্য ৬ দশমিক ১০০ কোটি ডলারের সাহায্যের প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।

একটি অঘোষিত সফরে পোল্যান্ড থেকে সোমবার দিবাগত রাতে ট্রেনে করে কিয়েভে এসে পৌঁছান ব্লিংকেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এটা ব্লিংকেন চতুর্থ কিয়েভ সফর।

মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য জেলেনস্কির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘এ সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের জন্য বড় দুর্বলতা ছিল আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। তিনি খারকিভ অঞ্চলের জন্য দুটি প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চান। বর্তমানে খারকিভে রুশ বাহিনী ব্যাপক আক্রমণ চালাচ্ছে। সেখানকার সীমান্তের গ্রামগুলোর নিয়ন্ত্রণ ইতিমধ্যে রুশ বাহিনীর হাতে চলে গেছে। কিয়েভকে বাধ্য হয়ে নতুন করে সেখানে সেনা পাঠাতে হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্বীকার করে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা কৌশলগত সফলতা পেয়েছেন।

ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার স্থলবাহিনীর আগ্রাসনের মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সহায়তা করতে তারা যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘সর্বাত্মক’ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।