হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সোমবার (২০ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএনের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।
ইরানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
গতকাল রোববার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি প্রকল্প উদ্বোধনের পর হেলিকপ্টারে করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফিরছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানও ছিলেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।
ইরানের সংবিধান বলছে, কোনো দুর্ঘটনায় যদি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয় তাহলে সেই পদে বসবেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ মোহাম্মদ মোখবার হবেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই দেশটির সর্বোচ্চ নেতার অনুমতি লাগবে।
ইরানে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তাকে সরকারের প্রধান এবং সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রেসিডেন্ট মারা গেলে পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করার বিধান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালের আগস্টে মোহাম্মদ মোখবারকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে মোখবার ইরানের সরকারি দাতব্য সংস্থা সেতাদের প্রধান হিসেবে ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মোখবারের নেতৃত্বে, সেতাদ কোভিড-১৯ মহামারির সময় ইরানের করোনভাইরাস ভ্যাকসিন ‘কোভিরান বারেকাত’ তৈরি করেছিল।