আন্তর্জাতিক

ফ্রিজে গরুর মাংস, অবৈধ ১১ বাড়ি ভেঙে ফেলল মধ্যপ্রদেশের পুলিশ

ভারতের মধ্যপ্রদেশে সরকারি জমিতে তৈরি অবৈধ ১১টি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। জবাই এবং পাচার করার উদ্দেশে বাড়িগুলোতে গরু সংগ্রহ এবং ফ্রিজে গরুর মাংস সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ বলছে, বেআইনি গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালিয়েছে তারা। মধ্যপ্রদেশে গরু জবাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রোববার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ‘আনন্দবাজার’।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মধ্যপ্রদেশের মণ্ডলার ভানিওয়াহি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশের একটি বিশেষ দল। এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। পুলিশের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় জবাই এবং পাচার করার জন্য গরু জড়ো করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে ১১টি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। বাড়িগুলোর পিছনের উঠোন থেকে বাঁধা অবস্থায় অন্তত ১৫০টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এরপর ওই ১১টি বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ফ্রিজ থেকে গরুর মাংস উদ্ধার করে পুলিশ। মাংসগুলো বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া মাংস গরুর কি না, নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় পশুচিকিৎসকের সাহায্যও নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন মণ্ডলার এসপি রজত সকলেচা। এ ছাড়া, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ওই মাংসের নমুনা হায়দরাবাদেও পাঠানো হয়েছে। বাড়িগুলো থেকে পশুর চর্বি, চামড়া এবং হাড় উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি ১০ জনের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনের আগে থেকেই অপরাধমূলক কাজের ইতিহাস রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকিদের সম্বন্ধে তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এসপি রজত সকলেচা বলেন, ‘সরকারি জমিতে তৈরি হওয়ায় ওই ১১টি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। উদ্ধার করা ১৫০টি গরু নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। ভানিওয়াহি এলাকায় গরু পাচার বেড়েছে। আমাদের কাছে মাঝেমধ্যেই এই ধরনের খবর আসছে। মধ্যপ্রদেশে গরু নিধনের অপরাধে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাই আমরা এই এলাকায় তল্লাশি চালাই এবং গরু উদ্ধার করি।’