আন্তর্জাতিক

বিদ্যুৎ চুরির কারণে পাকিস্তানে বছরে ৬০০ বিলিয়ন রুপি ক্ষতি হচ্ছে

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় জ্বালানিমন্ত্রী আওয়াইস লেঘারি বলেছেন, বিদ্যুৎ চুরির কারণে দেশটি বছরে ৬০০ বিলিয়ন রুপির ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। রোববার জিও নিউজের একটি টিভি অনুষ্ঠানে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ‘শনিবার (২২ জুন) পাকিস্তানে ৬ হাজার মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ছিল। তা সত্ত্বেও এই বিদ্যুৎ সঞ্চালক লাইনে সরবরাহ করা হয়নি। কারণ এর ফলে জাতীয় কোষাগারের আরও ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন রুপি ক্ষতির কারণ হতে পারে।’ 

জিও নিউজের ‘জিরগা’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়েছে; তাই ওই ফিডারগুলো মিটারে না থাকায় সরকার তাদের বিদ্যুৎ দিতে পারেনি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করি, তাহলে বৈধ মিটার থাকা ভোক্তারাই অবৈধভাবে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের বোঝা বহন করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার মতো কোনো দাতব্য ফান্ড নেই। বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব।’ 

লেঘারি বলেন, ‘কেন্দ্রের পক্ষ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান এবং সিন্ধু প্রদেশকে বিদ্যুৎ চুরি বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ কেন্দ্রীয় সরকারের আহ্বানের আগেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।’ 

পাকিস্তানে বিদ্যুৎ চুরির কারণে বছরে ৬০০ বিলিয়ন রুপির ক্ষতি হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে এটি বন্ধ করবো এবং রাজনৈতিক চাপ বা হুমকির কাছে মাথা নত করব না।’ 

মন্ত্রী জানান, পেশোয়ার ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (পেস্কো) ও উপজাতীয় এলাকায় বার্ষিক ১৩৭ বিলিয়ন রুপির ক্ষতি হয়েছে। করাচি ছাড়াও সিন্ধুতে বছরে ৫১ বিলিয়ন রুপির বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। পাঞ্জাবে ১৩৩ বিলিয়ন রুপির বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছে এবং বেলুচিস্তানে ১০০ বিলিয়ন রুপির বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছে। পেশোয়ার, মারদান, ডেরা ইসমাইল খান, নওশেরা এবং চরসাদ্দায় ৬৫ ​​বিলিয়ন রুপির বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। 

লেঘারি বলেন, ‘বিদ্যুৎ চুরির সঙ্গে জড়িত কোনো প্রদেশের সঙ্গে বৈষম্য করা সম্ভব নয়। এটাকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক রং ছাড়াই বিদ্যুৎ চুরি বন্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।