আন্তর্জাতিক

এক মাস ধরে ক্যাম্প থেকে লাপাত্তা বিএসএফের দুই নারী কনস্টেবল

ভারতের মধ্যপ্রদেশে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন দুই নারী কনস্টেবল। প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি তাদের।

একাধিক জায়গায় খুঁজেও সন্ধান না পাওয়ায় অভিযানে নেমেছে দেশটির বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।  রোববার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। এই ঘটনায় সীমান্তেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিখোঁজ দুই নারী কনস্টেবল হলেন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের আকাঙ্ক্ষা নিখার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের শাহানা খাতুন। ২০২১ সাল থেকে তারা মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের তেকনপুরে বিএসএফের প্রশিক্ষণ একাডেমিতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন। দুজনই গত মাসের ৬ জুন নিখোঁজ হন।

তদন্তে তাদের সন্দেহজনক কার্যকলাপ পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। লোকেশন ট্র্যাক করে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দেখতে পান যে, মোবাইল ফোন দুটি দিল্লি, হাওড়া এবং বহরমপুরে ঘোরাঘুরি করছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থানের ফোন রেকর্ড এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ গত ৭ জুন বহরমপুরের একটি হাসপাতালে তাদেরকে দেখা গিয়েছিল।

প্রশিক্ষণ একাডেমি থেকে দুই নারী কনস্টেবলের এক মাস ধরে নিঁখোজ থাকার ঘটনায় নড়চড়ে বসেছে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। এই ঘটনায় উদ্বেগের পাশাপাশি স্বেচ্ছায় একাডেমি ত্যাগের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছি কিনা, তা নিয়ে সন্দেহের দানা বাঁধছে।

আকাঙ্খার মা উর্মিলা নিখার গোয়ালিয়র পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল ৫ জুন। তবে কথা বলতে সে ইতস্তত করছিল। উর্মিলা নিখারের অভিযোগ, গোয়ালিয়র পুলিশ তদন্ত করেনি। শুধু একটা নিখোঁজের ডায়েরি লিখে রেখেছিল। এখন পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় গোয়ালিয়র পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, আকাঙ্খার মা উর্মিলা নিখার তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনেছেন। শাহানা খাতুনের বিরুদ্ধে তিনি এ অভিযোগ করেছেন। গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) গোয়ালিয়র পুলিশ সুপারের কাছে উর্মিলা নিখার এমন অভিযোগ করেন।