সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার প্রচেষ্টা তার সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করেছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণাকে থামিয়ে দিয়েছে এবং নভেম্বরের নির্বাচনে আরও রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি করেছে। হামলার পর ট্রাম্পের রিপাবলিকান মিত্ররা শনিবার তাকে নায়ক হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তার ট্রাম্পের রক্তাক্ত কান এবং মুষ্টি উঁচিয়ে থাকা ছবিতে স্লোগান তুলে দিয়েছেন-‘লড়াই!লড়াই!লড়াই!’
ট্রাম্প নিয়মিতভাবেই তার সমর্থক ও মিত্রদের কাছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ভাষা ব্যবহার করেছেন। হামলার পরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর জে ডি ভ্যান্স প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দোষারোপ করে বলেছেন,এটি রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর প্রতি পৈশাচিকতা যা হত্যার প্রচেষ্টার দিকে পরিচালিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘আজকের বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাইডেনের প্রচারণার কেন্দ্রীয় ভিত্তি হল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী যাকে যেকোনো মূল্যে থামাতে হবে। সেই বাগাড়ম্বর সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হত্যার চেষ্টার দিকে পরিচালিত করেছিল।’
ট্রাম্পের প্রচারণার সহ-ব্যবস্থাপক ক্রিস লাসিভিটা এক্স-এ হামলার পরপর লিখেছেন, ‘কয়েক বছর ধরে এবং আজও বামপন্থী কর্মী, ডেমোক্রেট দাতা, এমনকি জো বাইডেনও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করার বিষয়ে ঘৃণ্য মন্তব্য এবং বর্ণনা দিয়েছেন ... এখনই সময় তাদেরকে এর দায় দেওয়ার... সর্বোত্তম উপায় হল ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে।’
হামলার পরে বাতাসে মুষ্টিবদ্ধ হাত তোলা রক্তাক্ত ট্রাম্পের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এই যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন।’
যেভাবে ট্রাম্পের মিত্র ও সমর্থকরা হামলার পর থেকে বিদ্বেষ প্রচার করতে শুরু করেছেন, তাতে দ্রুত হয়তো বাইডেন শিবির থেকেও জবাব আসতে পারে বলে ধারণা করা যায়। জবাব-পাল্টা জবাবের পারদ যদি চড়তে থাকে, তাহলে নভেম্বরের আগেই দুই পক্ষের লড়াইটা কুৎসিত হয়ে উঠতে পারে। তেমন কিছু হলে নিশ্চিতভাবেই রাজনৈতিক সংঘাতের নতুন ইতিহাস জন্ম দেবে আমেরিকা।