দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্ব অঞ্চলের কিছু শহরের ভিতরে প্রবেশ করে ট্যাংক ও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছেন, তিনি জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বানি সুয়াইলা, আল-জান্না এবং আল-কারা এলাকায় বেশকিছু যুদ্ধ হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা পাঁচ ইসরায়েলির মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোরে হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনেরও বেশি জিম্মি করে।
তবে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামাস নির্মূল অভিযানে অন্তত ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনারা রাফাহর উত্তর, পশ্চিমে ও শহরের কেন্দ্রে ট্যাংক ও বিমান হামলা চালিয়েছেন। হামলায় পূর্বের শহরগুলোতে বেশ কয়েকজন আহত এবং খান ইউনিসের পূর্ব এলাকায় চারজন নিহত হয়েছেন। মিশরের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকাতেও তারা তীব্র বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে। এতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
এছাড়া চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজার শেখ রাদওয়ান শহরতলিতে একটি বাড়িতে চারজন নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার একটি হাসপাতাল থেকে ইসরায়েলি সৈন্যরা সাতজন ফিলিস্তিনিকে আটক করে নিয়ে গিয়ে সীমান্তের কাছাকাছি একটি এলাকায় ছেড়ে দিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, তারা খান ইউনিসে অভিযান চালিয়ে কয়েক ডজন জঙ্গিকে হত্যা ও অর্ধশতাধিক সামরিক অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছেন।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া এক বক্তব্যে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার সরকার বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এতে তারা সফল হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
তবে নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যকে ‘বিশুদ্ধ মিথ্যা’ বলে অভিযোগ করেছে হামাস। নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যে অনেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিও হতাশ হয়েছেন। কারণ তারা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করেছিলেন।