প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির নেতারা।
যুক্তরাস্ট্রের সেনেট মেজরিটি লিডার চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈধ প্রতিবাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহিংস প্রতিক্রিয়া তার নেতৃত্বের প্রতি মানুষের সমর্থন তুলে দিয়েছে। আমি সাহসী আন্দোলনকারীদের প্রশংসা করছি ও একই সাথে নিহতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সবার অধিকারকে সম্মান করে এবং দ্রুত গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করে এমন একটি ভারসাম্যপূর্ণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ।’
পড়ুন: শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না: জয়
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ স্থানান্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাদের নির্বিচারে আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের প্রতিনিধি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যে সহিংসতা আমরা দেখেছি, তা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷’
শিক্ষার্থী, শিশু ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ সবার প্রাণহানির ঘটনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷’
পড়ুন: শেখ হাসিনার দেশত্যাগ, যা বলছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যম
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বাংলাদেশের চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে