আন্তর্জাতিক

কারা দাঙ্গা করছে যুক্তরাজ্যে?

গত সপ্তাহ থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির অতিডানপন্থি গ্রুপগুলো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দানকারী হোটেল ও মসজিদগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। কেন তারা হামলা চালাচ্ছে?

২৯ জুলাই সাউথপোর্টের উত্তর-পশ্চিম সমুদ্রতীরবর্তী শহরটি সান্ডারল্যান্ডের একটি নাচের ক্লাসে সোমবার ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন শিশু নিহত ও আট জন আহত হয়। এ ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে হামলাকারী মুসলিম যুবক এবং অভিবাসী। পুলিশ ওই তরুণের পরিচয় প্রকাশ না করলেও জানিয়েছে, সে মুসলিম নয়। এর পরেও ডানপন্থিরা একটি মসজিদে হামলা চালায়। 

এর পরের দিন মধ্য লন্ডনে ডানপন্থিদের বিক্ষোভকালে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের কাছেই হোয়াইটহলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সহিংস বিক্ষোভকারীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে বিয়ার ব্যারেল, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং পাথর নিক্ষেপ করে। একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এখান থেকে পুলিশ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর থেকে যুক্তরাজ্যের অন্তত ২০টি এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ বিক্ষোভ সমাবেশে অভিবাসী বা মুসলমানদের লক্ষ্য করে কয়েক শতাধিক লোককে জড়ো হতে দেখা গেছে। তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে, মসজিদ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ইট, বোতল এবং অন্যান্য জিনিস নিক্ষেপ করেছে। এশীয় মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ দোকান ভাংচুর বা লুট করা হয়েছে।

উত্তর ইংল্যান্ডের রোটারহ্যাম শহরে রোববার একদল অতি দক্ষিণপন্থি সমর্থক একটি হোটেলে হামলা চালায়। তাদের অভিযোগ, ওই হোটেলে বহু শরণার্থীকে জায়গা দেয়া হয়েছে। পুলিশ বহুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের সঙ্গে আক্রমণকারীদের রীতিমতো হাতাহাতি হয়।

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এই সহিংসতা ছিল ‘অতি ডানপন্থিদের গুন্ডামির’ ফল।

টমি রবিনসন নামে পরিচিত স্টিফেন ইয়াক্সলে-লেননের মতো হাই প্রোফাইল অভিবাসনবিরোধী এবং মুসলিম বিরোধী কর্মীরা অনলাইনে বিক্ষোভের প্রচার করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মিথ্যা তথ্যের বিস্তার বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট কাজ না করছে না বলে অভিযোগ করেছে সরকার। 

পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের সাথে জড়িতরা মূলত স্থানীয় নয়, তারা বাইরে থেকে আসা অতিডানপন্থি আন্দোলনকারী। তবে কিছু ক্ষেত্রে তাদের সাথে স্থানীয়রা যোগ দিয়েছে।