গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) ভোরে শহরের দারাজ এলাকায় বোমা হামলাটি হয়। খবর আল জাজিরার।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বোমা বিস্ফোরণে স্কুলটিতে আগুন লেগে যায় এবং উদ্ধারকারী দল তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা সিটির বাসিন্দাদের আশ্রয়স্থল দারাজ তুফাহ শহরের একটি মসজিদ সংলগ্ন আল-তাবাঈন স্কুলে অবস্থিত হামাস কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে হামাস সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আইএএফ।
এতে আরও বলা হয়, হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সুনির্দিষ্ট অস্ত্র ব্যবহারসহ আকাশ থেকে নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৯০ থেকে ১০০ জনে। এ ছাড়া আরও মানুষ আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলটিতে তিনটি ইসরায়েলি রকেট আঘাত হানে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় ১০০ জনেরও বেশি লোক শহিদ হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় গাজায় ইতিমধ্যে ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছ ৯১ হাজার। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।