আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনুশে শফিক পদত্যাগ করেছেন। গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে তুমুল বিক্ষোভের প্রায় চার মাস পর পদত্যাগ করলেন শফিক।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শফিক গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ই-মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান। ই-মেইলে তিনি বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট থেকে আমার পদত্যাগ কার্যকর হবে।’

পদত্যাগের কারণ হিসেবে শফিক উল্লেখ করেন, ‘তিনি একটি অশান্ত সময় দেখেছেন। নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তা অতিক্রম করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সময়টা তার পরিবারের ওপরও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে, যেমনটি প্রভাব ফেলেছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর।’

তার কথায়, ‘এ মুহূর্তে তার চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক। তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণাটি এখন এ কারণেই দিয়েছেন, যাতে নতুন সেমিস্টার শুরুর আগে নতুন নেতৃত্ব দায়িত্বে নিতে পারেন।’

গাজাযুদ্ধ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীবিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্র ছিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের কিছু অংশ দখল করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

বিক্ষোভকারীদের হটাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকেন শফিক। তার এ পদক্ষেপের নিন্দা জানায় বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হওয়ায় তার সমালোচনা করেন ইসরায়েলের সমর্থকরা।

শফিকের পদত্যাগের সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় নিউ ইয়র্কে রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি এলিস স্তেফানিক দাবি করেন, কলাম্বিয়ার ক্যাম্পাসে ‘ইহুদিবিদ্বেষ’ থামাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন শফিক।

সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে স্তেফানিক বলেন, ‘ইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন শফিক। অনেক আগেই তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা উচিত ছিল।’

মিনুশে শফিক ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রেসিডেন্ট হন।