আন্তর্জাতিক

আরজি কর ইস্যুতে যে বার্তা দিলেন মোদি

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যজুড়ে গত কয়েকদিন ধরে নজিরবিহীন বিক্ষোভ চলছে। 

এতে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে ভারতের মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরের মানুষ। চলমান এই ঘটনা স্পর্শ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নারী নির্যাতন-ধর্ষণের মতো অপরাধে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার কথা জানান। এ ধরনের অপরাধ দমনে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

নারীদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় মোদি রাজ্য সরকারগুলোকে কঠোর হতে বার্তা দিয়েছেন। তার মতে, এমন শাস্তি হোক যেটা প্রচারের পর নারীদের উপর অত্যাচার করতে মানুষ ভয় পায়।

মোদি বলেন, ‘উন্নয়নে নারীদের অংশীদারিত্ব রয়েছে। একই সঙ্গে খারাপ খবরও রয়েছে। নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। রাজ্য সরকারগুলোর কাছে আর্জি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা দরকার। দোষীদের দ্রুত শাস্তি হওয়া উচিত। এই ধরনের অপরাধে যাদের সাজা হচ্ছে তাদের খবর প্রচার করা হোক, যাতে নারীদের উপর অত্যাচার করতে ভয় পায়। এই ভয় তৈরি করা দরকার।’

চলমান ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা নারীদের উপর অপরাধ সংঘটিত করছেন, তাদের দ্রুত এবং কঠোর শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন’।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের চারতলায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক নারী চিকিৎসকের দেহ। খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে শামিল হন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা।

পরে সেই আন্দোলনে যোগ দেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকেরা। তবে সেই আন্দোলন এখন শুধু চিকিৎসকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কঠোর সমালোচনা করছে অনেকে।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্ত প্রক্রিয়ায় সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

তিনি ‘বাংলার অপমান’ করার জন্য বিরোধীদলের সমালোচনা করেন।

মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের মদদে বিজেপি ও সিপিএম পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাকে (পশ্চিমবঙ্গ) অবমাননা করার সমন্বিত উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। তারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আন্দোলনে উৎসাহিত হয়ে একইভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা সফল হবে না।’