কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ার এমন একটি সেতু ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলের গ্লুসকোভো গ্রামের কাছে সেম নদীর ওপরে থাকা সেতু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, সেনাবাহিনী সরবরাহের জন্য ক্রেমলিন সেতুটি ব্যবহার করতো ক্রেমলিন। ধ্বংসের কারণে এতে প্রভাব পড়বে। তবে সেতু ধ্বংসের খবরে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া।
সেতুটি ধ্বংস হওয়ায় এখন সেনা সরবরাহের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা কুরস্কে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে এবং দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে একটি বিনিময় তহবিল বলে ব্যবহার করছে। যার অর্থ, মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোর সঙ্গে রুশ অঞ্চলগুলো অদলবদল করা যেতে পারে।
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রুশ ভূখন্ডে ইউক্রেনের সেনারা অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।
ইউক্রেনের আশ্চর্যজনক এই আন্তঃসীমান্ত অভিযানের ফলে কুরস্ক থেকে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি নাগরিক সরিয়ে নিয়ে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। তবে কিয়েভ জানিয়েছে, তারা রুশ ভূখণ্ড নিজেদের দখলে রাখতে চায় না।
গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সিনিয়র সহযোগী মাইখাইলো পোদোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে চায় না। রাশিয়ায় তাদের অনুপ্রবেশের মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো মস্কোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা।
তিনি জানান, ইউক্রেন দেখিয়ে দিচ্ছে যে তারা রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে সক্ষম। আর এটাই হবে রাশিয়াকে আলোচনায় বসতে চাপে ফেলার একটি প্রমাণিত ও কার্যকর উপায়।
গত ৬ আগস্ট রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে হঠাৎ করেই অভিযান শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এরপর সাত দিনেই এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করে কিয়েভ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এবারই প্রথম কিয়েভের সেনারা শত্রুভূমির অনেকখানি ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে।