আন্তর্জাতিক

কুরস্ক হামলায় ইউক্রেনকে মদদ দিয়েছে পশ্চিমারা: রাশিয়া

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হামলা করতে ইউক্রেনকে মদদ দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রসহ কিয়েভের মিত্রদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই হামলা শুরু হয়। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এই অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন প্রভাবশালী মিত্র। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের প্রভাবশালী কর্মকর্তা নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেছেন, কুরস্ক অভিযান পরিকল্পনায় ন্যাটো ও পশ্চিমাদের বিশেষ বাহিনীর অংশগ্রহণ ছিল। তাদের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছাড়া কিয়েভ কখনোই রুশ ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করতো না।’ অবশ্য তিনি বক্তব্যের সমর্থনে কোনও প্রমাণ হাজির করেননি।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবার টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রথমবারের মতো কুরস্ক অঞ্চলে পশ্চিমা নির্মিত রকেট লঞ্চার, সম্ভবত মার্কিন হিমার্স দিয়ে হামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, এই হামলার ফলে গ্লুশকভো জেলায় সেইম নদীর একটি সেতু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীরা নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান অলেক্সান্ডার সিরস্কি শুক্রবার বলেছেন, তাদের বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলের কিছু এলাকায় আরও ১ থেকে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।

গত ৬ আগস্ট রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে হঠাৎ করেই অভিযান শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিয়েভের দাবি, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৮২টি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথম রাশিয়ায় প্রবেশ করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সিনিয়র সহযোগী মাইখাইলো পোদোলিয়াক শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে চায় না। রাশিয়ায় তাদের অনুপ্রবেশের মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো মস্কোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা।

তিনি জানান, ইউক্রেন দেখিয়ে দিচ্ছে যে তারা রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে সক্ষম। আর এটাই হবে রাশিয়াকে আলোচনায় বসতে চাপে ফেলার একটি প্রমাণিত ও কার্যকর উপায়। 

এদিকে রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমাদের সমর্থনে রুশ ভূখণ্ডে কিয়েভের ‘সন্ত্রাসী আক্রমণ’ যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করবে না।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন তাতে তাকে জয়ী হতে দেওয়া যাবে না।