আন্তর্জাতিক

নেপালে বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১

নেপালের তানাহুন জেলায় ভারতীয় পর্যটকবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হয়েছে। হতাহতের বেশির ভাগই ভারতের মহরাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার বাসিন্দা।

শুক্রবার আয়নাপাহারা এলাকার মারস্যাংদি নদীতে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পড়ে যায় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে যাত্রী নিয়ে নেপালে গিয়েছিল। ঘটনার সময় পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল বাসটি। পথে তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে বাসটি পড়ে যায়। তবে কীভাবে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ল তা এখনও জানা যায়নি।

দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পাহাড়ি ঢালের নিচে নদীর পাশে ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি পড়ে আছে। উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকা যাত্রীদের খুঁজছেন। নেপাল সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি মেডিকেল দল দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে বাসটি পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে খবর দেন এবং নিজেরাই উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু যাত্রীদের অধিকাংশকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন জানান, ওই বাসে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। তবে ঠিক কত জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও তাদের হাতে আসেনি। রাজ্য সরকার দিল্লি, নেপালের প্রশাসন ও ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে মরদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যেতে বাস রুট ভারতীয় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। সড়ক ও যানবাহনের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং পার্বত্য অঞ্চলে সরু সড়কের কারণে নেপালে প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। গত জুলাইয়ে ঘটা ভূমিধসে দুটি যাত্রীবাহী বাস ত্রিশূলী নদীতে পড়ে ডুবে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছিলেন।