আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে বৃষ্টির মতো রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ, জরুরি অবস্থা জারি

জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অবস্থানে তিন শতাধিক রকেট ছুড়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতভর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শনিবার রাতে কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোনসহ উত্তর ইসরায়েলে ৩২০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে।

হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলে ১১টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার ধরে ইসরায়েলের জন্য ‘জরুরি পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটের খবরে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনসমাগত সীমিত এবং নির্ধারিত এলাকায় চলাফেরা না করা।

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য সাইরেন বাজানো হয়েছে এবং আকাশ হামলা থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বেন গৌরিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেল আবিবগামী সব ফ্লাইল বাতিল করেছে। তেল আবিবগামী ফ্লাইটগুলো অন্য বিমানবন্দরে পাঠানো হচ্ছে। 

রোববার (২৫ আগস্ট) ভোররাতের দিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইডিএফ শনাক্ত করে, সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোড়ার প্রস্ততি নিচ্ছে। এসব হুমকি মোকাবেলায় আইডিএফ লেবাননে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানছে।’

লেবাননের আল মায়াদিন টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে তীব্র সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানগুলো দক্ষিণ লেবাননের কুনিন, বেইত ইয়াহাউন, হাদাথা, রাশাফ ও তিরি শহরের বনাচ্ছাদিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।

এদিকে, সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের টুয়েলভ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টিতে ইসরায়েল আগ্রহী নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি বলেছে, ‘ইসরায়েলের এই হামলা লেবাননে যুদ্ধ শুরু করার লক্ষ্যে নয়, বরং লাখ লাখ ইসরায়েলি নাগরিকের জন্য একটি গুরুতর হুমকি দূর করার উদ্দেশ্যে। হামলার ধারাবাহিকতা হিজবুল্লাহর কর্মের উপর নির্ভর করবে।’