পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে আজ ‘নবান্ন ঘেরাও’ অভিযানে নামছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। এই কর্মসূচিকে অনুমতি দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
ফলে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি ঘিরে কলকাতায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নবান্ন ঘেরাও অভিযান ঠেকাতে পুরো শহরে ছয় হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় গড়া হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের নবান্ন অভিযান সামনে রেখে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযানের ১৯টি যাত্রাপথে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। নবান্ন ভবনজুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা আর নাগরিক সুরক্ষা আইনের ১৬৩ ধারা।
নবান্ন ভবন হলো পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয়। এখান থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজ করে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ অন্যান্য শীর্ষ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের অফিস রয়েছে।
আরজিকর কাণ্ডে মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক দেয় অরাজনৈতিক ছাত্রগোষ্ঠী ‘ছাত্র সমাজ’। নবান্ন অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা মনে করছেন, আজ নবান্ন অভিযানের নামে শহরজুড়ে তাণ্ডব চলতে পারে। এমন আশঙ্কায় রাজ্যের সচিবালয় ও লাগোয়া এলাকাকে কার্যত দুর্গে পরিণত করার পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। ছয় হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে পুলিশের শীর্ষ পদাধিকারীরা।
কলকাতার আরজিকর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। গত ৯ আগস্ট এই হাসপাতালেরই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দোষীদের বিচারে প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে বিক্ষোভ চলছে।
সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নবান্ন অভিযান শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানানো হয়। বলা হয়, মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে নবান্ন ভবনের দিকে এগিয়ে যাবে। কেউ দলীয় পতাকা নয়, শুধু জাতীয় পতাকা নিয়ে যোগ দিতে পারবেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ইতিমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে দেখে অনেকেই সরকার ফেলার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার।’