তাদের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস একে অপরকে আমেরিকায় বিভাজনে ইন্ধন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অভিবাসন এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিতর্কিত ইস্যুগুলোতে তাদের মতবিরোধের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে লাইভ শ্রোতা না থাকায় দুজনের বিতর্ক চলাকালে উচ্ছ্বসিত করতালি ছিল না।
অবশ্য সারাদেশে লাখ লাখ আমেরিকান তাদের বসার ঘরে কিংবা বার ও ক্লাবগুলোতে বসে দুই প্রার্থীর বিতর্ক দেখেছেন। প্রাক-বিতর্ক জরিপে ডেমোক্রেট প্রার্থী হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের অবস্থান ছিল কাঁধ ছুঁইছুঁই। এখন প্রশ্ন উঠেছে মঙ্গবার রাতের বিতর্কে আসলে কে বিজয়ী হয়েছে।
সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে দেখা গেছে, বিতর্কে হ্যারিসের অবস্থান ভালো। বিতর্ক শুরুর পর তাৎক্ষণিক জরিপের ফল ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে। তবে বিতর্ক শেষে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, পুরো বিতর্কের সময়টাতে ট্রাম্পকে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রাখতে সক্ষম হয়েছেন হ্যারিস।
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কিত ইতিহাসবিদ বারবারা পেরি বলেছেন, ‘ট্রাম্প সমর্থকরা খাওয়ার জন্য প্রচুর লাল মাংস পেয়েছে। অন্ধকার অতীত সম্পর্কে ট্রাম্পের সাধারণতার তুলনায় ভাইস প্রেসিডেন্ট তার ভবিষ্যৎ নীতির সুনির্দিষ্টতা ছিল, যা দুজনের মধ্যে স্পষ্ট বৈসাদৃশ্য। কমলা হ্যারিসকে সিদ্ধান্তহীন, মধ্যপন্থী ভোটারদের কাছে যাওয়া দরকার ছিল, যারা তাকে ভোট দিতে আরামবোধ করে। অন্তত, তিনি সেই ভোটারদের জন্য দুয়ার বন্ধ করেননি বা কোনো অযোগ্যতাপূর্ণ ভুল করেননি।’
বিতর্ক শেষ হওয়া মাত্রই রিপাবলিকানরা অভিযোগ করতে শুরু করে, এবিসির মডারেটর ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়েছিলেন। তারা উভয়ই বেশ কয়েকবার ট্রাম্পের বক্তব্যকে পিছনে ঠেলে দিয়েছেন।
প্রথম বিতর্কের আগেই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় বিতর্কের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথম বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে কমলা হ্যারিসের শিবির নীরব ছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথম বিতর্ক শেষ হওয়ার প্রায় সাথে সাথেই হ্যারিস শিবির নভেম্বরের আগে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছে। এতে বোঝাই যাচ্ছে, ডেমোক্রেটরা মনে করছে মঙ্গলবার রাত ছিল হ্যারিসের পক্ষেই।