আন্তর্জাতিক

আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বসা উচিত: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের উচিত আদানি গোষ্ঠীর সাথে ‘বসা’ এবং আদানি গোষ্ঠীর সাথে তাদের যে সমস্যাগুলো থাকতে পারে সেগুলো ‘সমাধান’ করা। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দপ্তরের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেছেন।

বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও আদানির সঙ্গে যে চুক্তি সেটি ‘বেসরকারি খাতের’ সাথে সম্পর্কিত এবং তাই একটি উপযুক্ত পর্যায়ে বিষয়টি সমাধান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জয়সওয়াল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তা যাচাই করতে চায়। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তির শর্তাবলী এবং বিদ্যুতের জন্য যে মূল্য দেওয়া হচ্ছে সেটি ন্যায্য কিনা তা জানতে আগ্রহী।

এই প্রতিবেদনের প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘এটি একটি বেসরকারি প্রকল্প। এটি ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষের চুক্তিতে আবদ্ধ - একটি পক্ষ, যেটি একটি ভারতীয় পক্ষ হতে পারে এবং অন্য পক্ষটি বাংলাদেশ। এই ব্যবস্থা, এই চুক্তি থেকে কী চায় সেই বিষয় উভয় পক্ষকে নির্ধারণ করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘এটি ক্রেতা-বিক্রেতার বিষয়, এটি বেসরকারি প্রকল্প, তাই তাদের সুনির্দিষ্ট সমস্যা থাকলে তাদের বসতে হবে এবং সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।’

আদানি পাওয়ার (ঝাড়খন্ড) লিমিটেডের চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) ২৫ বছর ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশ আদানির গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই কিনবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল।