আন্তর্জাতিক

আরজিকর কাণ্ডে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের

আরজিকর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে করে তারা বলেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের সব দাবি পূরণ করেনি। বাকি দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মস্থলে ফিরবেন না। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। 

জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের যে দাবিগুলো এখনও করা পূরণ হয়নি, সেগুলো নিয়ে তারা ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান। সেজন্য আজ বুধবার রাজ্য সরকারকে ই-মেইল করা হবে।

জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট-এর অন্যতম মুখপাত্র অনিকেত মাহাতো জানান, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে বৈঠক করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সেসব বাস্তবায়ন করেছেন। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো হয়নি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আশ্বাস দিলেও এখনও সেরকম কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, তাদের যে পাঁচ দফা দাবি ছিল, সেগুলোর মধ্যে চতুর্থ (সুরক্ষা সংক্রান্ত) এবং পঞ্চম দাবি (ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত) পূরণ করা হয়নি। তারা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, সেগুলো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও আলোচনা হয়েছে। ফলে সুরক্ষা নিয়ে তাদের দাবি যে সঠিক, তা প্রমাণিত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। 

সেইসঙ্গে তাদের দাবি, স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে দেয়নি রাজ্য সরকার। এসব বিষয় নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে মঙ্গলবার মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৌস্তুভ নায়েক ও স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশিস হালদারকেও সরিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

তবে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে অপসারণের দাবি মানতে রাজি হননি মমতা ব্যানার্জি। সোমবার বৈঠকের পরে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদেরকে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘সবাই সরিয়ে দিলে তো স্বাস্থ্য দপ্তরটাই খালি হয়ে যাবে।’ 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি ৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি। আর কী করব? এবার আশা করছি, তারা কাজে ফিরবেন।’

তবে মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানালেন, তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে তারা ফের বৈঠকে বসতে চান।