আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের গোপন ৮২০০ সাইবার যুদ্ধ ইউনিট আসলে কী?

লেবাননের হিজবুল্লাহর যোগাযোগ যন্ত্র কয়েক হাজার পেজারে একযোগে বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করছে। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলের যে সংস্থাটির নাম সামনে আসছে সেটি হচ্ছে ৮২০০ সাইবার যুদ্ধ ইউনিট। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইসরায়েলি এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হিব্রু ‘শমোনে মাতাইম’ এর সংখ্যা দিয়ে এই সংস্থাটি পরিচিত। এটি ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অংশ।

ইউনিট ৮২০০ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) বা ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ এর সমতুল্য। এটি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর বৃহত্তম একক সামরিক ইউনিট। এটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের সময় গঠিত প্রাথমিক কোডব্রেকিং এবং গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে গঠিত।

সংস্থাটির কর্মকাণ্ডগুলো অত্যন্ত গোপনীয়। যতটুকু জানা যায়, এর কার্যক্রম সংকেত বুদ্ধিমত্তা থেকে ডেটা মাইনিং ও প্রযুক্তিগত আক্রমণ পর্যন্ত বিস্তৃত।

২০০৫-১০ সাল পর্যন্ত স্টাক্সনেট ভাইরাস আক্রমণ চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক সেন্ট্রিফিউজগুলোকে নিষ্ক্রিয় করেছিল ইউনিট ৮২০০। লেবাননের রাষ্ট্রীয় টেলিকম কোম্পানি ওগেরোতে ২০১৭ সালের সাইবার আক্রমণ এবং ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাত্রা করা একটি বেসামরিক বিমানে আইএসআইএসের আক্রমণকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল ইসরায়েলের এই সংস্থাটি।

গত বছর সংস্থাটির কমান্ডিং অফিসার তেল আবিবে একটি সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তাদের ইউনিট হামাসের যোদ্ধাকে চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর গুপ্তচরবৃত্তির পাশাপাশি, এটি যুদ্ধ অঞ্চলসহ সব এলাকায় কাজ করে এবং যুদ্ধ সময়ে কমান্ড সদর দপ্তরের সাথে একযোগে কাজ করে।

কিশোর-কিশোরী এবং ২০ বছরে পা দিতে যাচ্ছে এমন যুবকদের সংস্থার কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়। অধিকাংশকে আবার উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক হাই স্কুল প্রোগ্রাম থেকে বেছে নেওয়া হয়। এখানে কাজ শেষে অনেকে ইসরায়েলের বিকাশমান উচ্চ প্রযুক্তি এবং সাইবার নিরাপত্তা খাতে নিজের কর্মজীবন বেছে নিয়েছে।