আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিশানায়েকে

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে। স্থানীয় সময় আজ সোমবার রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ইতিহাস ‘নতুন করে রচনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনূঢ়া। নির্বাচনে তার এই জয়কে দুর্নীতি ও স্বজনতোষণের সংস্কৃতির প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। 

প্রথম বামপন্থি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দিসানায়েকে শপথ নেয়ার পরপরই বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জাদু দেখাই না, আমি জাদুকর নই। এমন কিছু আছে যা আমি জানি এবং এমন কিছু থাকতে পারে যা আমি জানি না। তবে আমি সেরা পরামর্শ চাইব এবং আমার সেরাটাই করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’

আত্মস্বীকৃত মার্কসবাদী অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (জেভিপি) পার্টির নেতা। গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের আস্থা অর্জন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা এবং ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহেকে ধরাশায়ী করে জয়ী হন তিনি।

জেভিপি প্রধান অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে এবারের নির্বাচনে এনপিপি জোটের প্রার্থী ছিলেন। জোটটি এর আগে কখনো শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলও ছিল না। দেশটির ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে এই জোটের আসন ছিল মাত্র তিনটি।

কিন্তু ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালানোর পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জেভিপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ওই বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা ছিল দলটির। আন্দোলনের পর জেভিপি বৃহত্তর পরিবর্তনের ডাক দেয়। সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলটির অনড় অবস্থান নাগরিকদের আকৃষ্ট করেছে। 

রাজাপক্ষে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পান রণিল বিক্রমাসিংহে। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো দেশটিতে।