আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার অস্ত্রে বিদেশি প্রযুক্তির প্রধান সরবরাহকারী চীন, অভিযোগ ইউক্রেনের

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ভ্লাদিস্লাভ ভ্লাসিউক মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অস্ত্রের প্রায় ৬০ শতাংশ বিদেশি প্রযুক্তি চীনের মাধ্যমে আসে।

তিনি বলেন, ‘আপনি যদি রাশিয়ার সব ধরনের অস্ত্র নেন এবং বিদেশে তৈরি হয়েছে এমন পার্টস গণনা করেন, তাহলে দেখতে পাবেন প্রায় ৬০ শতাংশ বিদেশি প্রযুক্তি চীন থেকে এসেছে।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা জানান, তারা বেশ কিছু অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘ বৈঠকের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘আমি বলব চীন সবচেয়ে বড় সমস্যা।’

ভ্লাসিউক বলেন, নজরদারি, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও সুইজারল্যান্ড থেকে আসে।

রাশিয়া ও চীনের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, বেইজিং বারবার কোনো পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। চীন শুরু থেকেই বলে আসছে, তারা ইউক্রেন সংকটে জড়িত নয়।

রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় হামলা শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও, মস্কো তার সামরিক মেশিন পশ্চিমা মাইক্রোচিপ এবং সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে পুনরায় পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

ভ্লাসিউক বলেন, ‘রাশিয়ার পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ রাশিয়ায় পশ্চিমা পণ্যের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও কিছু করা উচিত। 

তিনি বলেন, ‘রোসাটম...আমরা বিশ্বাস করি এটি রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করার জন্য তার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।’ 

ইউরোপীয় দেশগুলো পারমাণবিক কেন্দ্র সরবরাহে রাশিয়ার আধিপত্যের কারণে কোনো পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক।

ভ্লাসিউক বলেন, ইউরোপীয় জোটকে রাশিয়ার লজিস্টিক, যেমন বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা উচিত। তিনি রাশিয়ার প্রযুক্তি খাতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার একটি প্যাকেজের দিকে ইঙ্গিত  করেন। তার মতে, চলতি মাসের শুরুতে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পর থেকে সেটি বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে।